করোনা মহামারী ঠেকাতে গত ২৫ মার্চ দেশ জুড়ে জারি হয়েছিল লকডাউন। আড়াই মাসের টানা লকডাউনে দেশ জুড়ে প্রায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল শিল্পোৎপাদন। শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার জানাল, লকডাউনের মধ্যে মে মাসে কী পরিমাণে শিল্পোৎপাদন হয়েছে, তা প্রকাশ করা হবে না। কারণ ওই সময়কার তথ্য যথেষ্ট পরিমাণে সংগ্রহ করা যায়নি। এদিন তথ্যমন্ত্রক থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, মার্চের পরে বেশিরভাগ সংস্থাই কাজ করতে পারেনি।
এর আগে এপ্রিলের শিল্পোৎপাদন সংক্রান্ত তথ্যও প্রকাশ করেনি সরকার। এপ্রিল ও মে মাসের মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত তথ্যও প্রকাশ করা হয়নি। আপাতত যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে একটি বিদেশি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, মে মাসে ভারতে শিল্পোৎপাদন কমেছিল ৩৪.৭১ শতাংশ। সরকারের বক্তব্য, কোভিড ১৯ অতিমহামারী শুরুর আগের মাসগুলিতে যে শিল্পোৎপাদন হয়েছে তার সঙ্গে অতিমহামারীর সময়কার উৎপাদনের তুলনা করা ঠিক নয়।
কিছুদিন আগে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার বা আইএমএফ জানিয়েছিল, ২০২০ সালে ভারতের প্রতিটি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই কাজকর্ম কমবে। অর্থনীতি সংকুচিত হবে ৪.৫ শতাংশ হারে। অর্থনীতির এই সংকোচন ঐতিহাসিক। কারণ নিকট অতীতে ভারতের অর্থনীতির বহর কখনও এভাবে কমেনি। তবে ২০২১ সালে ভারতের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে বলে আইএমএফ আশা প্রকাশ করেছে।
২০২১ সালে ভারতের অর্থনীতি ছয় শতাংশ হারে বিকশিত হবে বলে আইএমএফ মনে করে। ২০১৯ সালে ভারতের অর্থনীতি বিকশিত হয়েছিল ৪.২ শতাংশ হারে। গত এপ্রিলে আইএমএফ বলেছিল, ২০২১ সালে ভারতের অর্থনীতি বিকশিত হবে ৭.৪ শতাংশ হারে। এদিন তার থেকে ১.৪ শতাংশ কমিয়ে দেখানো হয়েছে।