আমার ছেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে একদম ঠিক কাজ করেছে পুলিশ। এনকাউন্টারে ছেলে মারা যাওয়ার পর এমনটাই জানিয়েছেন গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের বাবা রামকুমার দুবে। তাঁর কথায়, ‘যা হয়েছে ভালো হয়েছে, পাপী মারা গেছে।’
ছেলেকে নিয়ে বিকাশের বাবা একটি সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘আমাদের কথা যদি শুনত, ওর জীবন এ ভাবে শেষ হয়ে যেত না। আমাদের কোনও ভাবে সাহায্যে করেনি। উল্টে ওর জন্য আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ধুলোয় মিশে গিয়েছে। আট জন পুলিশকর্মীকে খুন করেছে ও, যা ক্ষমার অযোগ্য। প্রশাসন একদম ঠিক কাজ করেছে। এটা যদি তারা না করত, আগামিকাল অন্য কেউ একই কাজ করত।’ তাঁরা যাতে পৈত্রিক বাড়িতে ফিরতে পারেন সে জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে আবেদনও করেছেন তিনি।
গত ৩ জুলাই উত্তরপ্রদেশের কানপুরে আট পুলিশকর্মী খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বিকাশ দুবেকে বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী থেকে গ্রেফতার হয়। গতকাল শুক্রবার সেখান থেকে কানপুরে বিকাশকে নিয়ে আসার সময় পুলিশের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে বিকাশের মৃত্যু হয়। এর পর থেকেই ওই এনকাউন্টার নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে থাকে। গোটা ঘটনাক্রম নিয়ে অস্বস্তিকর প্রশ্ন ও বিরোধীদের তোপের মুখে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। সেই আবহেই এবার পুলিশের পাশে দাঁড়ালেন বিকাশের বাবা। ছেলের শেষযাত্রাতেও উপস্থিত ছিলেন না তিনি।
ছেলের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পরই ঘরবন্দী রয়েছেন তাঁর মা সরলা দেবী। পুলিশের সঙ্গে কানপুরে যেতে অস্বীকার করে তিনি জানিয়েছেন, ‘ছেলের সঙ্গে কোনওভাবেই তাঁর যোগাযোগ ছিল না। লখনউতেই ঠিক আছি।’ গ্যাংস্টার বিকাশের মৃত্যুর পর তাঁর বাড়ির কোনও সদস্যই হাসাপাতালে যাননি। শ্মশানঘাটেও তাঁদের উপস্থিতি দেখা যায়নি। বিকাশের দেহ নিতেও অস্বীকার করেন তাঁরা।