প্রায় এক ‘মহাকাণ্ড’ ঘটিয়ে বিজেপির হাত থেকে ক্ষমতা দখলের পর দিব্যি চলছে মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস, এনসিপি আর শিবসেনার মহাজোট সরকার। রাজ্য সরকার প্রসঙ্গে এদিন ‘সামনা’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একাধিক বিষয় নিয়ে কথা বললেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার। সঙ্গে বিজেপিকে সতর্ক করলেন তিনি। বুঝিয়ে দিলেন ক্ষমতার দম্ভে ধরাকে সরা জ্ঞান করা মোটেও উচিত নয়। উদাহরণ টেনে তার দাবি, ইন্দিরা গান্ধী, অটল বিহারি বাজপেয়ীর মতো জনপ্রিয় নেতৃত্বের সরকারও ভেঙে দিয়েছিল জনতা।
শিবসেনা মুখপাত্র ‘সামনা’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এদিন মহারাষ্ট্র রাজনীতি প্রসঙ্গে পাওয়ার বলেন, ‘কোনও রাজনৈতিক নেতার এটা ভাবা কোনও ভাবেই উচিত নয় যে সেই সর্বদা ক্ষমতায় থাকবে। এই দেশের ভোটাররাই ইন্দিরা গান্ধী, অটল বিহারী বাজপেয়ীর মত শক্তিশালী নেতা, যাঁদের সঙ্গে একটা সময় গোটা দেশ দাঁড়িয়ে ছিল তাঁদেরকেও ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। সুতরাং এই ধরণের ভুল ধারণা মনের মধ্যে পোষণ করাটা কোনওভাবেই কাম্য নয়।’
এরপরই মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের কথা তোলেন তিনি। বলেন, ‘কোনও রাজনৈতিক নেতার জনতার সামনে গিয়ে এটা বলা কখনই উচিত নয় যে আমিই ক্ষমতায় আসছি। সেই সময় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী সভায় অনুষ্ঠানে গিয়ে বারবার একটাই কথা বলে গিয়েছেন তিনি ক্ষমতায় আসছেন। যা সাধারন মানুষ ভাল চোখে নেয়নি।’
সামনাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এনসিপি প্রধান আরও বলেন, ‘যদি আপনি লোকসভা নির্বাচনের দিকে চোখ রাখেন তবে দেখা যাবে কেন্দ্রে যে সরকার আছে মহারাষ্ট্রের জনগণ তাকেই ভোট দিয়েছে। কিন্তু যখন ছবিটা রাজ্যের হয়ে উঠল তখন মহারাষ্ট্রে অন্য চিত্র দেখা গেল। শুধু মহারাষ্ট্র নয়, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খন্ড, রাজস্থান, ছত্রিশগড় সমস্ত জায়গায় তখন বিজেপি সরকার থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে জনগণ। অর্থাৎ লোকসভায় অন্য এবং বিধানসভায় অন্য ভোটের সমীকরণ তৈরি হয়েছে। মহারাষ্ট্র এক্ষেত্রেও ছবিটা কিছুটা এক। বিগত পাঁচ বছরে মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকার খুশি ছিল না মানুষ।’