বিহারে মহামারী ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। সেটার বিরুদ্ধে লড়ার বদলে রাজ্য বিধানসভা ভোটের ডঙ্কা বাজানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে তুলোধনা করলেন নির্বাচনী বিশ্লেষক প্রশান্ত কিশোর।
এই প্রসঙ্গে শনিবার নীতীশকে কটাক্ষ করে প্রশান্ত টুইটারে লেখেন, ‘বিহারে কোভিড–১৯ পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে দেশের অন্য রাজ্যগুলির মতো, কিন্তু রাজ্য সরকারের সম্পদ এবং প্রযুক্তির বেশিরভাগটাই নির্বাচনী প্রস্তুতিতে খরচ হচ্ছে। নীতীশ কুমারজি এটা ভোট লড়ার সময় নয়, বরং কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়তে হবে। নির্বাচনের জন্য তাড়াহুড়ো করে মানুষের জীবন বিপন্ন করে তুলবেন না।’
শুক্রবার জেডিইউ জোট শরিক এলজেপি–র সভাপতি তথা রামবিলাসপুত্র চিরাগ পাসোয়ানও বলেছিলেন, মানুষের জীবনের ঝুঁকির কথা চিন্তা করা উচিত নির্বাচন কমিশনের। এবং মহামারী পরিস্থিতিতে ভোট হলে ভোটবাক্সে ভোটদানের শতাংশ কম হবে সেকথাও ভাবা উচিত নির্বাচন কমিশনের, মত চিরাগের। বিরোধী দল আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও মহামারীর আবহে ভোট না করার পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে।
তবে আরেক বিরোধী দল কংগ্রেস যে পূর্ণ শক্তিতে ভোটে লড়তে তৈরি সেকথা মনে করিয়ে দিলেন কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অখিলেশ প্রসাদ সিং। তিনি এও বলেছেন, এলজেপি এবং আরজেডি যে ভোট পিছোতে বলেছে তার মানে এই নয় যে তারাও প্রস্তুত নয়। বিহারে ৭০ লক্ষের বেশি এমন ভোটার আছেন যাঁদের বয়স ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে। সাংসদ বলছন, নির্বাচন কমিশন যদি ভোট নিতে চায় তাহলে সেটা স্বচ্ছই হবে। ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বের ভোটারদের বাড়িতে ব্যালট পেপার পাঠিয়ে দিলে সেটা আর স্বচ্ছ ভোট হবে না। তাঁর অভিযোগ, বিরোধীরা ভয় পাচ্ছে যে পুলিশ সব বাড়ি বাড়ি গিয় খোঁজ নিতে পারে।