বিশ্ব জুড়ে কোভিড ১৯ অতিমহামারী ১০০ বছরের সবচেয়ে বড় সংকট ডেকে এনেছে। মানুষের স্বাস্থ্য যেমন বিপন্ন হয়ে পড়েছে, তেমনই খারাপ অবস্থা হয়েছে অর্থনীতির। এর প্রভাব পড়বে উৎপাদন, চাকরি ও জনকল্যাণমূলক কাজের ওপরে। শনিবার এই মন্তব্য করেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। এদিন সপ্তম এসবিআই ব্যাঙ্কিং অ্যান্ড ইকনমিকস কনক্লেভে তিনি বক্তব্য পেশ করেন।
তাঁর কথায়, করোনা অতিমহামারী চলতি বিশ্বব্যবস্থাকে আঘাত হেনেছে। বিশ্ব জুড়ে শ্রম ও পুঁজির যাতায়াত ব্যাহত হয়েছে। বিশ্বের এক বড় সংখ্যক মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থাতেও পরিবর্তন এসেছে। সম্ভবত এই অতিমহামারী আমাদের অর্থনীতির সামনে সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হিসাবে দেখা দিয়েছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর বলেন, ‘আর্থিক বিকাশের ওপরে এখন আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। একইসঙ্গে টাকার বাজারে স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্যও চেষ্টা করা হচ্ছে।’ পরে তিনি বলেন, ‘ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি এখন কোভিড ১৯ অতিমহামারীর প্রভাব ঠেকাতে চেষ্টা করছে। তাদের মাধ্যমেই আরবিআইয়ের নানা পলিসি কার্যকর করা হচ্ছে।’
শক্তিকান্ত দাস দাবি করেন, ‘অর্থনীতিকে সংকটের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কয়েকটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রথাগত ও প্রথাবহির্ভূত দু’রকম পদক্ষেপই নেওয়া হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ানো ও নগদ টাকার যোগানে সংকট কাটানোর চেষ্টা হচ্ছে।’
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের দাবি, কোনও পদক্ষেপ নিলে কিছুদিন পরে বোঝা যায়, তার ফল কী হল। তবে আপাতত মনে হচ্ছে, আমরা যে পদক্ষেপ নিচ্ছি, তাতে ভালই ফল হয়েছে। তাতে আমরা উৎসাহিত হয়েছি। আরও নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছি।