করোনার ধাক্কায় স্তব্ধ পৃথিবীর ক্রীড়াজগত। যদিও আনলক পর্যায়ে আস্তে আস্তে প্র্যাক্টিসে ফিরছেন অনেকেই। কিন্তু সব ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হচ্ছে না। লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে সব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এমনকি পুল্লেলা গোপীচন্দের অ্যাকাডেমি এখনও খোলেনি। পি ভি সিন্ধু, কিদম্বি শ্রীকান্তেরাও ফিরতে পারেননি কোর্টে। বাংলার প্রতিশ্রুতিমান ব্যাডমিন্টন তারকাদের মূল ভরসা এখন ফিজিক্যাল ট্রেনিং ও অনলাইন ক্লাস। কেউ কেউ বাড়িতেই ওয়াল প্র্যাক্টিস করছেন দেওয়ালে শাটল মেরে।
গত বছর অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করেছেন সৈকত। সিনিয়র ডাবলসের পাশাপাশি অনূর্ধ্ব-১৯ বিভাগে তিনি চ্যাম্পিয়ন। গোপীচন্দের নির্দেশ অনুযায়ী অনুশীলন করে নিজেকে তৈরি রাখছেন। প্রত্যেক দিন নিয়মিত দু’বেলা ট্রেনিং করছেন সৈকত। তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘সকালে নিজেই ভিডিয়ো-কলের মাধ্যমে আমাদের ট্রেনিং করান গোপী স্যর। বেশ কিছু যোগব্যায়াম, স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিংয়ের ধরন ও টেকনিক উন্নত করে তোলার জন্য শ্যাডো দেখান। স্যরের নির্দেশ অনুযায়ী ট্রেনিং চলছে আমাদের।’’
গোপীর অ্যাকাডেমির আর এক ছাত্র সল্টলেকের অঙ্কিত মণ্ডল। এশীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপের জুনিয়র স্তরে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছিলেন তিনি। বলছেন, ‘‘গোপী স্যর বেশ কিছু সহজ উপায় দেখিয়েছেন, লকডাউনের মধ্যেও ছন্দ ধরে রাখার জন্য। সেই অনুযায়ী চেষ্টা করছি জড়তা কাটিয়ে ওঠার।’’
এ বছর রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় ডাবলস জয়ী আদিত্য মণ্ডল বাড়িতেই আটকে পড়েছেন। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের কাছেই তাঁর বাড়ি। তাই বেরোতে ভয় পাচ্ছেন। ট্রেনিং যদিও বন্ধ নেই। পুল্লেলা গোপীচন্দের অ্যাকাডেমিতে প্রস্তুতি নিতেন তিনি।