ভারত-চীন দ্বৈরথের মধ্যে চীনা পণ্যের আমদানি ও বিক্রিতে রেশ টানতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। তার জের হিসেবে ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে বেশ কিছু নির্দেশাবলী মেনে চলতে বলা হচ্ছে।
এবার থেকে পণ্যের গায়ে উৎপাদনকারী দেশের নাম পরিষ্কারভাবে তুলে ধরার জন্য ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সময়সীমা দেওয়া পয়লা অগাস্ট।
জানা গেছে অ্যামাজন, ফ্লিপকার্টের মতো ই-কমার্স কোম্পানিগুলিকে কেন্দ্র নির্দেশ দিয়েছে পয়লা অগাস্টের মধ্যে নতুন পণ্যের গায়ে লিখতে হবে তা কোন দেশে তৈরি ও ওয়েবসাইটে বাধ্যতামূলকভাবে জানাতে হবে। পুরনো প্রোডাক্টের গায়ে দেশের নাম লেখা রয়েছে কিনা তা চিহ্নিত করার সময়সীমা ১ অক্টোবর। সংস্থাগুলিকে বলা হয়েছে, সময়সীমার মেয়াদ বাড়বে না।
গত মাসের শেষে এই সংক্রান্ত আগের বৈঠকে বেশিরভাগ ই-কমার্স সংস্থা জানিয়েছিল, সরকারের নয়া নির্দেশ মেনে নিতে তাদের অসুবিধে নেই। কিন্তু বুধবারের বৈঠকে তারা করোনা পরিস্থিতি কীভাবে এমএসএমই এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে, তা তুলে ধরে সরকারের কাছে আরও সময় চায় বলে খবর। কয়েকজন প্রতিনিধি এও জানিয়ে দেন, সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে ই-কমার্স সংস্থাগুলি সংকটে পড়বে।
সূত্রের খবর, গত বুধবার ই-কমার্স সংস্থাগুলির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত জানানোর পর সংস্থাগুলি আরও সময় চেয়েছিল। জানিয়েছিল বিদেশি পণ্য আমদানিতে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে এবং পরিবর্তন আনছে, তা কার্যকর করতে সময় চাই। তার পরে এই সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয় সরকার পক্ষ। তবে শীঘ্রই চূড়ান্ত ডেডলাইন দেওয়া হবে বলে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে ইকনমিক টাইমস।
বুধবার এই সংক্রান্ত বৈঠকে অংশ নেন অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট, জিও, শপার্স স্টপ, ক্রোমা, স্নাপডিল, লেন্সকার্ট, পেটিএম, গ্রোফার্স, টাটা ক্লিক, ফারম্যাসি, হোমশপ-18, স্যুইগি, জোম্যাটো এবং মেডিকাবাজার সহ প্রায় ৩০ টি ই-কমার্স সাইটের প্রতিনিধি। তাদের মধ্যে ফ্লিপকার্ট পণ্য বিষয়ক এই পরিবর্তন আনতে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত সময় চায়। অ্যামাজন ২-৩ মাস সময় চেয়েছে বলে খবর।