বিকাশ দুবের এনকাউন্টার কাণ্ডে এ বার উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে একযোগে আক্রমণ শানাল কংগ্রেস, সপা, বসপা নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, যোগীর ‘এনকাউন্টার রাজে’ একমাত্র যে জিনিসটির হত্যা হয়েছে, তা হল ন্যায়বিচার৷
বিরোধী নেতাদের বক্তব্য, আদালতের কাজ ন্যায়বিচার দেওয়া৷ পুলিশের কাজ অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করানো৷ বিজেপি-র রাজত্বে ভারতবর্ষে এই দু’টি জিনিসকে গুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ অভিযুক্তকে এ ভাবে গুলি করে মারতে পারে না পুলিশ৷
পূর্ব উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘অপরাধী শেষ হয়ে গেল। অপরাধ ও তার মদতদাতা যারা তাদের কী হবে?’ কংগ্রেসের আর এক শীর্ষ নেতা দিগ্বিজয় সিং ট্যুইটে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, ‘যেটা নিয়ে আশঙ্কা ছিল, সেটাই হল। বিকাশ দুবের সঙ্গে কোন কোন রাজনীতিক এবং পুলিশের অন্যান্য আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল, তা আর জানা যাবে না। গত ২-৩ দিনে বিকাশ দুবের দুই সঙ্গীকেও এনকাউন্টারে খতম করা হয়েছে। কিন্তু তিন এনকাউন্টারের প্যাটার্নই একই ধরনের কী ভাবে হল?’
অন্যদিকে, সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব এ প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘আসলে, গাড়িটা উলটে যায়নি। গোপন সত্যিটা প্রকাশ্যে বেরিয়ে এলে উত্তরপ্রদেশ সরকার উলটে যেত, সেটা থেকে তারা রক্ষা পেয়েছে।’
প্রসঙ্গত, মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়ন থেকে গ্রেফতারের পরে সড়কপথে বিকাশ দুবেকে কানপুরে নিয়ে আসা হচ্ছিল৷ মাঝপথেই উল্টে যায় পুলিশের কনভয়ে থাকা একটি গাড়ি৷ পুলিশের দাবি, সেই সময় পুলিশের বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে বিকাশ দুবে৷ তাঁকে আত্মসমর্পণ করতে বলে পুলিশ৷ তা না করে বিকাশ পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করে বলে অভিযোগ৷ তখনই আত্মরক্ষার স্বার্থেই গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ৷ গুলির লড়াইতে গুরুতর আহত হয় বিকাশ৷ পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় বিকাশ দুবের৷ যদিও এ ভাবে এনকাউন্টারে বিকাশ দুবের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা৷