একে ব্রাহ্মণ, তার উপর গ্যাংস্টার। উত্তরপ্রদেশের অন্ধকার জগতে এমন উদাহরণ বিরল। রাজনৈতিক নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতা ও জাতপাতের সমীকরণে দ্রুত উত্থান হয়েছিল বিকাশ দুবের। বহুবার আইনের ফাঁক গলে বেড়িয়ে গেলেও নিয়তির হাত এড়াতে পারল না সে। শুক্রবার সকালে কানপুরে এনকাউন্টারে শেষ হয়ে যায় উত্তরপ্রদেশের অন্ধকার জগতের আরও এক অধ্যায়। এবার সেই এনকাউন্টার ঘিরেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশ থেকে সড়ক পথে বিকাশকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশ আসছিল পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। যথারীতি, সেই কনভয়ের পিছু ধাওয়া করছিলেন সাংবাদিকরা। প্রেসের বেশ কয়েকটি গাড়িতে গোড়া থেকেই গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছিলেন সংবাদকর্মীরা। কিন্তু কানপুরের সাচেনদি এলাকায় ঢোকার ঠিক মুখেই সংবাদ মাধ্যমের গাড়িগুলি আটকে দেয় পুলিশ। তাঁদের আর বিকাশের পিছনে ধাওয়া করে যেতে দেওয়া হয়নি। ওই ঘটনার কিছুক্ষণ পরই সকাল ৬.৩০ নাগাদ এনকাউন্টারে খতম হয় বিকাশ। এবার প্রশ্ন উঠছে মধ্যপ্রদেশ থেকে পুলিশ কনভয়ের পিছু ধাওয়া করছিলেন সাংবাদিকরা। তখন তাঁদের বাধা দেওয়া হয়নি কেন? এনকাউন্টারের আগেই কেন তাঁদের আটকে দেওয়া হল? তাহলে কি বিকাশ ‘ফেক এনকাউন্টার’-এর শিকার?
অন্যদিকে, কিছু রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, যে গাড়িটি উলটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে তাতে নাকি বিকাশ ছিল না। শুরুতে একটি সাফারি গাড়িতে করে বিকাশকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। কিন্তু যে গাড়িটি উল্টে যায় সেটি টিইউভি ৩০০। এখন মাঝপথে কোথাও বিকাশকে নামিয়ে ওই টিইউভ-তে তোলা হয়েছিল কিনা সেটা স্পষ্ট নয়।