গত সপ্তাহে তাকে ধরতে গিয়েই তার দলবলের ছোঁড়া গুলিতে নিহত হন আট পুলিশকর্মী। শুধু তাই নয়। পুলিশ আসার খবর আগেই পেয়ে যাওয়ার ফলে পুলিশ ডেরায় পৌঁছনোর আগেই সেখান থেকে পালায় উত্তরপ্রদেশের মোস্ট ওয়ান্টেড দুষ্কৃতি বিকাশ দুবে। জানা গিয়েছে, বিকাশ দুবেকে পুলিশি হানার খবর দিয়েছিলেন এক পুলিশকর্মীই। তাঁর নাম বিনয় তিওয়ারি। সেই অভিযোগে আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল তাঁকে। এবার গ্রেফতার করা হল ওই সাব ইন্সপেক্টরকে। উল্লেখ্য, বিকাশের গ্রামের কাছের একটি থানার দায়িত্বে ছিলেন বিনয়। এর আগে ওই বিকাশের নামে ওই থানায় দায়ের হওয়া একাধিক অভিযোগ ধামাচাপা দিয়েছেন তিনি। রবিবার বিকাশের সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তিনি ছাড়াও ওই থানার আর এক পুলিশকর্মী কেকে শর্মাকেও একই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিকাশের গ্রামের বাড়িতে হানা দেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ৫০ কর্মী। খুন, অপহরণ ও আরও অনেক দুষ্কর্মের অন্তত ৬০টি মামলা রয়েছে এই বিকাশের বিরুদ্ধে। এই কর্মীদের নেতৃত্বে ছিলেন ডেপুটি পুলিশ সুপার দেবেন্দ্র কুমার মিশ্র। কিন্তু আগে থেকেই এই পুলিশকর্মীদের আসার খবর পেয়ে গিয়েছিল বিকাশ। তাই পুলিশ আসার আগেই তৈরি ছিল তার দল। পুলিশ এলাকায় পৌঁছতেই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে তারা। এই গুলিকে আট পুলিশকর্মী শহিদ হন। গুরুতর আহত হন আরও সাত কর্মী। মারা যান ডিএসপি দেবেন্দ্রও। এই ঘটনার পর থেকে পলাতক বিকাশ ও তার সঙ্গীরা। গত শনিবার বিকাশের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দয়াশঙ্কর অগ্নিহোত্রীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কানপুরের কল্যাণপুর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে পায়ে গুলি লাগে দয়াশঙ্করের। তারপরেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
রবিবার জেরায় পুলিশকে দয়াশঙ্কর জানায়, পুলিশের মধ্যে থেকেই কেউ বিকাশকে ফোন করে পুলিশের হানা দেওয়ার খবর দিয়েছিল। তারপরেই তিন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়। অন্যদিকে, গত কয়েক দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি চিঠির চিঠি ঘুরছে। সেই চিঠিটি লিখেছিলেন দেবেন্দ্র কুমার মিশ্র। কানপুরের পুলিশ প্রধান অনন্ত দেও তিওয়ারিকে এই চিঠিটি লিখে তিনি জানিয়েছিলেন, পুলিশের মধ্যেই অনেকে বিকাশ দুবের সঙ্গে যুক্ত। এই চিঠিতেই চৌবেপুর থানার দায়িত্বে থাকা বিনয় তিওয়ারির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন দেবেন্দ্র। এরই মধ্যে বুধবার সকালে হিমাচল প্রদেশের হামিরপুর জেলার মোদাহা থানা এলাকায় বিকাশের সঙ্গী অমর দুবেকে খতম করেছে পুলিশ। আর্তারা গ্রামে লুকিয়ে ছিল অমর। সেখানে হানা দেয় এসটিএফ। পুলিশকে দেখে অমর পালানোর চেষ্টা করলে শুরু হয় এনকাউন্টার। এই এনকাউন্টারে সে নিহত হয়।