গোটাটাই ভারতের এলাকা। কিছু দিন আগে পর্যন্ত ফিঙ্গার আটে টহল দিয়ে এসেছে ভারতীয় সেনা। কিন্তু গালওয়ানে পিছু হটলেও প্যাংগং লেকের উত্তরে চীনের সেনা ফিঙ্গার চার থেকে ফিঙ্গার আট পর্যন্ত দখল করে ঘাঁটি বানিয়ে বসে রয়েছে। ওই এলাকায় চীনের সেনা, তাঁবু ছাড়াও প্রায় শ’খানেক সাঁজোয়া গাড়ি এখনও উপস্থিত। অর্থাৎ লাদাখে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে এখনও অব্যাহত চীনের ‘মিথ্যাচার’।
প্রসঙ্গত, বহু তর্ক-বিতর্কের পর গালওয়ান উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করলেও প্যাংগং শো এলাকা এখনও ফাঁকা করেনি লালফৌজ। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, আগের তুলনায় কিছুটা কম হলেও, প্যাংগং এলাকায় বহু চিনা সেনা ভারতীয় ভুখণ্ডে ঢুকে বসে আছে। চিনের এই মিথ্যাচারে রীতিমতো বিরক্ত ভারত। শুক্রবার ফের বৈঠকে বসছে দুই দেশ।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুনের সংঘর্ষের পর শান্তি ফেরানো নিয়ে দুই দেশের সেনা কর্তারা মোট তিন দফায় বৈঠক করেছেন। সূত্রের খবর, এই ৩ দফার বৈঠকে সীমান্ত সমস্যার স্থায়ী কোনও সমাধানসুত্র না বেরলেও দুই দেশই গালওয়ান-সহ কয়েকটি সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দু থেকে সেনা প্রত্যাহারের ব্যপারে ঐক্যমত হয়েছে। গত ৩০ জুনের বৈঠকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে চূড়ান্ত রোডম্যাপও তৈরি হয়েছে। সেদিনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই গালওয়ান থেকে সেনা সরিয়েছে ড্রাগন। অল্প কিছু সেনা সরেছে প্যাংগং এলাকা থেকেও।
কিন্তু এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, ওই এলাকা এখনও পুরোপুরি চীনাদের দখলমুক্ত নয়। সূত্রের খবর, গ্যাংগংয়ের ফিংগার ফোর থেকে ফিংগার এইটের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার চিনা সেনা মোতায়েন আছে। অথচ, ঐতিহাসিকভাবে ওই এলাকা ভারতের অন্তর্গত। ৩০ জুনের বৈঠকে হওয়া চুক্তি অনুযায়ীও ওই এলাকা থেকে চীনা সেনা সরে যাওয়ার কথা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসেছে ড্রাগন। চীনারা এখন ‘ফিংগার টু’ পর্যন্ত এলাকায় নিজেদের অধিকার দাবি করছে।