২০০৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে অভিষেক ঘটেছিল মাহির। তখন থেকেই ভারতীয় ক্রিকেটে শুরু হয় ধোনি-যুগ। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন থাকার সময়ে নির্বাচিত হন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ধোনিকে দলে নেওয়ার জন্য জাতীয় নির্বাচকদের কাছে সৌরভই সওয়াল করেছিলেন।
ধোনির নির্বাচন প্রসঙ্গে সৌরভ বলেছেন, ‘‘ক্যাপ্টেনের কাজই হল সেরা দল গড়া। একজন ক্যাপ্টেন তার বিচক্ষণতা, দূরদৃষ্টি দিয়ে বুঝতে পারে কোন প্লেয়ার তার জন্য সেরাটা দেবে।’’
বাংলাদেশ সফরে ধোনি অবশ্য ভাল পারফরম্যান্স তুলে ধরতে পারেননি। ফিরে এসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ছ’ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ব্যর্থ হন ধোনি। সেই ম্যাচের পরেই ধোনিকে ব্যাটিং অর্ডারে উপরের দিকে তুলে আনার সিদ্ধান্ত নেন সৌরভ। সেই ম্যাচে পাকিস্তানের বোলিংকে ধ্বংস করে ধোনি ১৪৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
বিশ্বক্রিকেট ‘ফিনিশার’ হিসেবেই বেশি পরিচিত ধোনি। সৌরভ বলছেন, ‘‘শুধুমাত্র ফিনিশার নয়, বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার ধোনি। ব্যাটিং অর্ডারে পরের দিকে নেমে যেভাবে ম্যাচ শেষ করে তা নিয়েই সবাই বলে থাকেন। কিন্তু ব্যাটিং অর্ডারে উপরের দিকে খুবই ভয়ঙ্কর ধোনি। ক্যাপ্টেন থাকার সময়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ধোনিকে আমি তিন নম্বরে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলাম।