করোনার ভয়ে ত্রাহি ত্রাহি রব পৃথিবীতে। সংক্রমণের ভয়ে বিশ্ব জুড়ে বন্ধ স্কুল-কলেজ। ফলে পড়াশোনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ভরসা সেই অনলাইন ক্লাস। তবে মারণ ভাইরাসের ভয়ে বিদেশি পড়ুয়াদের দেশের অভ্যন্তরে ঢুকতে দিতে নারাজ আমেরিকা। তাই বাতিল করা হল বিদেশি পড়ুয়াদের ভিসা।
আমেরিকার ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট বিভাগের তরফে বলা হয়েছে, যে পড়ুয়ারা অনলাইনে ক্লাস করছেন, তাঁদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে। নয়তো এমন কোনও কোর্সে ভর্তি হতে হবে যেখানে ব্যক্তিগতভাবে ক্লাসে হাজির হওয়া জরুরি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ মন্ত্রক স্থির করেছে, অনলাইনে ক্লাস করা যায় এমন কোর্সের জন্য যারা আবেদন করেছেন, তাঁদের ভিসাই প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। আগামী দিনে ওই ধরনের ছাত্রদের আর ভিসা দেওয়া হবে না। আমেরিকার বেশ কয়েকটি স্কুল-কলেজে অনেকদিন আগে থেকেই অনলাইন ক্লাস শুরু করা হয়েছে। কিন্তু সেইসঙ্গে কয়েকটি বিশেষ ক্লাসে পড়ুয়াদের আসতেও বলা হয়েছে। অবশ্য সংক্রমণের জেরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় স্থির করেছে, তারা প্রতিটি কোর্স অনলাইনেই করাবেন।
ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৮-১৯ এর শিক্ষাবর্ষে আমেরিকায় ১০ লক্ষ বিদেশি পড়ুয়ারা এসেছিলেন। আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার জন্য এপর্যন্ত যত পড়ুয়ারা ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৫.৫ শতাংশই বাইরে থেকে এসেছেন। এর ফলে ২০১৮ সালে বিদেশি ছাত্রদের থেকে আমেরিকার আয় হয়েছিল ৪৪৭০ কোটি ডলার। তবে বিশ্বের অন্য দেশগুলির তুলনায় আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা লাভের আশায় সবথেকে বেশি আসেন চীনের পড়ুয়ারাই। এছাড়াও ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরব এবং কানাডা থেকেও বহু ছাত্ররা আসেন পড়াশোনা করতে।
বেশ কয়েকদিন থেকেই বিদেশি কর্মীদের ভিসা দেওয়ার ব্যাপারে কড়াকড়ি শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। চলতি বছরে ইতিমধ্যেই এইচ ওয়ান বি ভিসা দেওয়া বন্ধ হয়েছে। আগামী দিনে শুধুমাত্র অতি দক্ষ এবং খুব বেশি বেতনের কর্মীদেরই আমেরিকায় ওয়ার্ক ভিসা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। তবে ভবিষ্যতে যাতে আমেরিকায় কম মাইনের চাকরিতে বিদেশিরা কাজ করতে না পারেন, সেদিকে সতর্ক নজর রাখতেই প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত বলে অনুমান অনেকের।