দু’দশকের বেশি সময় লোদি এস্টেটের ৩৫ নম্বর বাড়িতে রয়েছেন। আগামী ১ আগস্টের মধ্যে সেই বাড়ি ছাড়তে হবে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। ইতিমধ্যে তিনি নোটিশও পেয়েছেন। তবে নোটিশ ইস্যুর কয়েক দিনের মধ্যেই জানা গেল ওই বাংলোটি পেতে চলেছেন বিজেপিরই এক সাংসদ। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি বিজেপি সাংসদকে বাংলোটি পাইয়ে দিতেই প্রিয়াঙ্কাকে বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হল?
কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে চিঠি দিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে ১ আগস্টের মধ্যে ওই বাংলো খালি করতে বলা হয়। জানানো হয়, লোদি এস্টেটের ৩৫ নম্বর বাংলোটি এসপিজি নিরাপত্তাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জন্য বরাদ্দ ছিল। এসপিজি নিরাপত্তা তুলে নেওয়ায় প্রিয়াঙ্কাকে লোদি এস্টেটের ৬বি টাইপের বাংলো ছাড়তে হবে। ১৯৯৭ সালে রাজধানীর অন্যতম নিরাপদ জায়গা বলে পরিচিত লোদি রোডের সরকারি বাংলো পান প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। গত বছরের নভেম্বরে গান্ধী পরিবারের সদস্যদের এসপিজি স্তরের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেয় মোদি সরকার। বদলে দেওয়া হয় জেড প্লাস নিরাপত্তা। কংগ্রেস সূত্রের খবর, ২০২২ সালের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে আগামী দিনে লখনউয়ে ঘাঁটি গাড়তে চলেছেন প্রিয়াঙ্কা। লখনউয়ে গোখেল রোডে ইন্দিরা গান্ধীর মামিমা প্রয়াত শীলা কলের বাড়িটি প্রিয়াঙ্কার নতুন বাড়ি হবে।
সূত্রের খবর, নোটিস ইস্যুর সপ্তাহ না গড়াতেই, ৩৫ লোদি এস্টেটের ৬বি টাইপ বাড়িটি বরাদ্দ করা হয়েছে বিজেপি–র জাতীয় মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ অনিল বালুনির জন্য। মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘বালুনি এর আগে বেশ কয়েকবার আবাসন পরিবর্তনের আবেদন জানিয়েছিলেন। লোদি এস্টেটের প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বরাদ্দ বাংলোটি বাতিল হওয়ার পরই ডিরেক্টর অফ এস্টেট ওই বাংলোটি অনিল বালুনির জন্য বরাদ্দ করেছেন।’