গত এপ্রিলেই করোনা-আতঙ্কে এনআরএস হাসপাতালে ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল মেডিসিন মেল ওয়ার্ড। ১৪ বেডের সিসিইউ বিভাগও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এবার ফের সংকটে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। এবার হাসপাতালের মোট ১৬ জন চিকিৎসক-অধ্যাপক ও রোগীদের শরীরে মিলল করোনাভাইরাস সংক্রমণ। ফলে আবার বন্ধ হতে বসেছে হাসপাতালের একাংশ।
সূত্রের খবর, মনোরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, মেডিসিন বিভাগের একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর-সহ মোট ১৬ জনের দেহে সংক্রমণ মেলায় কার্যত সন্ত্রস্ত অবস্থা এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে। আজ, সোমবার সকালে গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে তৎপরতা। মেডিসিন, সার্জারি, প্রসূতি বিভাগ, অর্থোপেডিক-সহ একাধিক ওয়ার্ডের রোগীরা সংক্রামিত হয়েছেন বলে খবর মিলেছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। রোগীদের অন্যত্র পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এনআরএস এর আগেও করোনা নিয়ে এই সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। এপ্রিল মাসের ৬ তারিখে প্রথম করোনা-আতঙ্কে এনআরএস হাসপাতালে ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল মেডিসিন মেল ওয়ার্ড। ১৪ বেডের সিসিইউ বিভাগও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ৩৯ জন চিকিৎসক-সহ মোট ৬৪ জন স্বাস্থ্যকর্মীর পজিটিভ এসেছিল করোনার রিপোর্ট। হাসপাতালে চরম চিকিৎসক-সংকট দেখা দেয়।
এর পরে মে মাসের ২ তারিখে এনআরএসে চিকিৎসাধীন ছ’জন প্রসূতি ও এক চিকিৎসকের শরীরে কোভিড সংক্রমণ মিলেছিল। এক রোগীর মৃত্যুর পর রিপোর্ট আসে পজিটিভ। ওই ঘটনার পর প্রসূতি বিভাগের একটি অংশ সিল করে দেওয়া হয়। ফের মে মাসের ১১ তারিখে সংক্রমণ ধরা পড়ে বেবি নার্সারি বিভাগের এক নার্সের দেহে। সিল হয় হাসপাতালের একাংশ। এবার দু’মাস পরে ফের একই রকম আতঙ্ক ছড়াল এনআরএস-এ।