পরিযায়ী শ্রমিকদের গায়ে কীটনাশক ছড়িয়ে ‘জীবানুমুক্ত’ করার চেষ্টা হোক বা সমাজবাদী পার্টির এক নেতা ও তাঁর ছেলেকে গুলি করে খুন, সাম্প্রতিক কালে বারবারই খবরের শিরোনামে উঠে আসছে যোগী রাজ্যের নাম। এরই মধ্যে ‘অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য’ উত্তরপ্রদেশে কুখ্যাত গ্যাংস্টার বিকাশ দুবেকে পাকড়াও করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন ৮ পুলিশকর্মী। যে ঘটনা নিয়ে এখনও উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। খোদ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে একহাত নিয়ে টুইটারে রাহুল গান্ধী তোপ দেগে বলেছেন, গুন্ডারাজ চলছে উত্তরপ্রদেশে, আর এই ঘটনাই সেটা প্রমাণ করে। যার ফলে চাপে পড়ে এবার আটজন পুলিশকর্মীকে মেরে গা ঢাকা দেওয়া মোস্ট মোস্ট ওয়ান্টেড দুষ্কৃতী বিকাশ দুবেকে খুঁজে দিতে পারলে আড়াই লক্ষ টাকা পুরষ্কার ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে কানপুরের বিকরু গ্রামে এই বিকাশ দুবেকে ধরতে গিয়েই গুলির মুখে পড়েন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কর্মীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালায় বিকাশের সাঙ্গোপাঙ্গরা। তাতে মৃত্যু হয় রাজ্যের এক ডেপুটি পুলিশ সুপার, তিন সাব-ইনস্পেক্টর ও চার কনস্টেবলের। ইতিমধ্যেই বিকাশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার অভিযোগে চৌবেপুর পুলিশ স্টেশনের এক আধিকারিককে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিনয় তিওয়ারি নামের ওই পুলিশকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, বিনয় তিওয়ারি নিয়মিত বিকাশ দুবের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখছিল। পুলিশি অভিযানের সময় পুলিশের ব্যাকআপ টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি করিয়ে দেওয়ার পিছনেও বিনয়েরই হাত ছিল।
খুন, অপহরণ, তোলাবাজি ও দাঙ্গায় উস্কানি সহ ৬০টিরও বেশি মামলায় আগে থেকেই অভিযুক্ত বিকাশ দুবে পুলিশি অভিযানের তথ্য আগেই জানতে পেরে গিয়েছিল। ফলে একে-৪৭ সহ ভারি অস্ত্র জোগাড়ে সমর্থ হয়। আর পুলিশের বড় ধরনের একটি দলকে প্রাণঘাতী ফাঁদে ফেলার প্রস্তুতি নিতে সক্ষম হয়। ফলস্বরূপ বৃহস্পতিবার রাতে দুবেকে গ্রেফতার করতে যখন অভিযান চালায় পুলিশ বাহিনী, তখন কানপুরে দুবের ডেরায় পুলিশ ঢোকা মাত্রই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। যার ফলে মৃত্যু হয় ৮ পুলিশকর্মীর। আহত হন একাধিক জন।