ভারতে ধীরে ধীরে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত ২৫ মার্চ সারা দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেইসময় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সব ধর্মস্থান থেকে শুরু করে শপিং মল, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সৌধ এবং পর্যটন কেন্দ্রও। তবে ১ জুন থেকে আনলক-১ শুরু হওয়ায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া শুরু হয়েছিল। তখনই তাজমহল খোলার সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলেও, ৬ জুলাই থেকে পর্যটকদের জন্যে এই ঐতিহাসিক সৌধের দরজা খোলার কথা ছিল উত্তরপ্রদেশ সরকারের।
কিন্তু বর্তমান সময়ও আগ্রায় যেই হারে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তাতে নতুন করে কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় উত্তরপ্রদেশ সরকার। রবিবার রাতে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জারি করা হয়েছে একটি বিবৃতি। যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে আগ্রা এবং তাঁর সংলগ্ন অঞ্চলে যে কটি সৌধ এবং পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে, সর্বত্রই জারি থাকবে কড়া লকডাউন। এখনই কোনও পর্যটককে সেখানে আসার অনুমতি দেওয়া হবে না। সরকারি এই বিজ্ঞপ্তিতে লকডাউনের মেয়াদ কতদিন বৃদ্ধি করা হল, সে বিষয়ে যদিও কিছুই বলা হয়নি। হিন্দিতে প্রকাশিত এই বিজ্ঞপ্তি জেলা প্রশাসন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ‘জনগণের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এখনই আগ্রার কোনও সৌধ খোলা হবে না পর্যটকদের জন্যে।’
অন্যদিকে, করোনার প্রতিষেধক ১৫ আগস্টের মধ্যে বাজারে আনা যে একপ্রকার অসম্ভব তা মেনে নিয়েও ঢোঁক গিলল কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক। রবিবার প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর ওয়েবসাইটে তাদের বিবৃতিতে লেখা হয়েছিল, “২০২১ সালের আগে করোনার প্রতিষেধক জনসাধারণের ব্যবহারযোগ্য করে তোলা কঠিন।’ তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখান থেকে উধাও হয়ে যায় লাইনটি। এরপর নতুন বিবৃতিতে লেখা হয়, “ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া, সিডিএসসিও এই প্রতিষেধকগুলির হিউম্যান ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়ার মুহূর্তেই বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণের শেষের সূচনা হয়ে গিয়েছে।” অর্থাৎ পূর্ব প্রতিশ্রুতি মতো চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবসেই যে দেশীয় প্রতিষেধকের দেখা মিলবে, সে কথা আর জোর দিয়ে বলছে না মন্ত্রক।