ফি বছরই রাজ্য প্রশাসনিক কর্তাদের রুটিন বদলি হয়। এবার করোনা আবহে প্রতিটি দফতরেরই দায়িত্ব বেড়েছে। কোমড় বেঁধে ভাইরাস মোকাবিলায় নেমেছে রাজ্য। তবে তা সত্ত্বেও নিয়ম মেনে যথাযথ সময়েই একাধিক রদবদল হয়ে গেল রাজ্য প্রশাসনে। দায়িত্ব বদলে গেল সচিবদের। শুক্রবার এক দফতর থেকে অন্য দফতরে বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল নবান্নের তরফে। এর মধ্যে মূলত আইএএসরা রয়েছেন। ধাপে ধাপে আরও অনেক প্রশাসনিক আধিকারিকের বদলির নির্দেশিকা জারি হবে।
প্রসঙ্গত, অনিল ভার্মা ছিলেন শিক্ষা দফতরের সচিব। তাঁকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরে এসিএস করা হল। বরুণকুমার রায়কে এই দফতরের থেকে পাঠানো হল যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দফতরের প্রধান সচিব পদে। অপ্রচলিত শক্তি দফতরের সচিব ছিলেন রাজীব কুমার। তিনি এবার শিক্ষা দফতরের দায়িত্ব সামলাবেন। পঞ্চায়েত দফতরের সচিব পদে ছিলেন ছোটেন ধেন্দুপ লামা। তাঁকে অপ্রচলিত শক্তি দফতরের সচিব পদে নিয়ে আসা হল। সুমন্ত চৌধুরি ছিলেন এটিআইয়ের ডিজি। এর সঙ্গে তাঁকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হল ‘বিশ্ব বাংলা’র দিল্লীর রেসিডেন্ট কমিশনারের অফিসের ওএসডি’র। পার দফতরের ওএসডি ছিলেন তেজস্বী রানা। তাঁকে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব এবং উদ্বাস্তু, পুনর্বাসন দপ্তরের ওএসডি পদে নিয়ে আসা হল। শুক্রবার নবান্ন থেকে তাঁদের বদলির নির্দেশিকা জারি হয়েছে।