এবছর পৌষমেলার আয়োজন করবে না বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একাধিক সমস্যার জেরে এই সিদ্ধান্ত। তবে পৌষ উৎসবের যা অনুষ্ঠান হয় তাতে কোনও পরিবর্তন হবে না। শুক্রবার শান্তিনিকেতনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান বিশ্বভারতীর মুখপাত্র অনির্বাণ সরকার। শুধু তাই নয়, পরের বছরের বসন্ত উৎসব ও বাতিলের সিদ্ধান নেওয়া হয়েছে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে আশ্রমিক ও প্রাক্তনীরা সর্মথন করলেও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি।
শুক্রবার শান্তিনিকেতনের রথীন্দ্র অতিথি গৃহে পৌষমেলা কর্মসমিতির বৈঠক বসে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি দুলালচন্দ্র ঘোষ, উপাচার্যের প্রতিনিধি মঞ্জুমোহন মুখোপাধ্যায়-সহ আনান্যরা। এখানে মূলত পৌষমেলা বিশ্বভারতী পরিচালনা করবে কি না তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
২০১৯ সালের পৌষমেলার সময় ব্যাপক দূষণ হলেও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কার্যকারী কোনও ভূমিকা নিচ্ছে না বলে পরিবেশ আদালতে মামলা করেছিলেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। একই ভাবে ২০১৯ সালে নির্দিষ্ট সময়ের পর ব্যবসায়ীরা মেলার মাঠ থেকে না উঠলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঝামেলা হয়।
এপ্রসঙ্গে বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে সুনীল সিং এবং সুব্রত ভক্ত বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৌষমেলা বা বসন্ত উৎসব এখন শুধু বিশ্বভারতীর নয়, সারা দেশের অনুষ্ঠান। উপাচার্য বিশ্বভারতীর সংস্কৃতি এবং সৃষ্টি শেষ করার জন্য এসেছেন”।
একইভাবে এবার দোলের দিন বসন্ত উৎসব বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই মাসে যে কোনও পূর্ণিমার দিন ঘরোয়া ভাবে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করবে বিশ্বভারতী।