প্রথম মোদী সরকারের আমলেই করা হয়েছিল পরিকল্পনা। অবশেষে দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেই পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছিল কাজ। যার ফলস্বরূপ সম্প্রতি শতাধিক প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। তবে এর প্রতিবাদে শুক্রবার পূর্ব রেলের নানা দফতর ও ওয়ার্কশপগুলিতে বিক্ষোভ দেখালেন কর্মীরা। গতকাল দুপুর থেকে পূর্ব রেলের সদর দফতর ফেয়ারলি প্লেস, হাওড়া, শিয়ালদহ, আসানসোল, মালদহে রেলের দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান মেনস ইউনিয়নের সদস্যরা। লিলুয়া, কাঁচড়াপাড়া ও জামালপুরের ওয়ার্কশপগুলিতে আন্দোলনের তীব্রতা ছিল আরও জোরদার।
প্রসঙ্গত, গতকাল দুপুর একটা থেকে রেলের দফতরগুলির সামনে জমায়েত হন রেলকর্মীরা। পতাকা আর প্ল্যাকার্ড হাতে কর্মীরা কেন্দ্রের পরিকল্পনা বাতিলের দাবি তোলেন। পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ অভিযোগের সুরে বলেন, ‘১৯৪৬ সালে রেল জাতীয়করণ হয়। সেই রেলকে আম্বানি, আদানিদের হাতে তুলে দেওয়া চলবে না। হাওড়া ক্লাস্টারে ঘোষিত একটিও ট্রেন চলতে দেওয়া হবে না। এজন্য আন্দোলন যে পর্যায়ে করা দরকার তা হবে। কর্মীরা কাজে যোগ দেবেন না।’ দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশিস মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আমরা আন্দোলনকারীদের সমর্থন করছি।’