বাম জমানায় দেখা যেত ভোট এলেই তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও অত্যাচার বাড়িয়ে দিচ্ছে সিপিএমের হার্মাদবাহিনী যাতে বিরোধী শক্তি মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। সেই একই রকমভাবে ৩৪ বছরের পুরাতন কায়দায় হামলার ঘটনা বেড়ে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নেতা ও কর্মীদের ওপরে।
শুক্রবার রাতে দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার কুলতলি থানার বৈকুন্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মইপীঠ এলাকায় একটি খাসজমির দখলকে কেন্দ্র করে বিবাদ লাগে তৃণমূল ও এসইউসিআই’র মধ্যে। সেই সময়েই ২জন তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ওই বাম দলের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই দেখা যাচ্ছে বাম নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা গেরুয়া শিবিরে চলে যাচ্ছে। ইদানিং কালে দক্ষিন ২৪ পরগনা জুড়ে বিজেপির রমরমা বেড়েছে। এসএইসিআইয়ের বেশ কিছু সমর্থক ও কর্মী পরিবার এখনও খাতায় কলমে দলবদল না করলেও তলে তলে বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশ রেখে চলেছে। তাই সন্দেহ, শুক্রবার রাতের ঘটনার পিছনে বিজেপির মদত থাকতে পারে।
জানা গিয়েছে, এসইউসিআইয়ের লোকজন রাতের আঁধারে খাসজমির দখল নিতে এসে তৃণমূলের বাধার মুখে পড়ে। সেই সময়েই ২জন তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই দফায় দফায় দুই দলের সংঘর্ষ বাঁধে। রাতভর চলে বোমা গুলির লড়াই। তাতে দুই দলেরই প্রায় ১৫জন আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃত এক তৃণমূলকর্মী অশ্বিনী মান্নার পরিবার সরাসরি অভিযোগ তুলেছে যে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে তাঁকে খুন করা হয়েছে।