লকডাউনের জেরে ৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে গৃহবন্দী গোটা দেশের মানুষ। তাই ধীরে ধীরে লকডাউন উঠতেই প্রকৃতির কোলে ফিরতে শুরু করেছে সকলে। একঘেয়েমি কাটিয়ে এবার আবার প্রকৃতির কাছাকাছি ফেরার বন্দোবস্ত চালু হল রাজ্যে। পাহাড়ের ঢালে কালিম্পঙের ‘মর্গান হাউস’ কিংবা জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি বা সমুদ্রতটের দীঘা, বকখালি ও ব্যারাকপুরের মালঞ্চে এবার থেকে থাকতে পারবেন পর্যটকরা।
আনলক-২ শুরুর পরেই দ্বিতীয় দফায় রাজ্যে খুলল এই পাঁচটি পর্যটনকেন্দ্রের দরজা। তিন মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর উত্তর ও দক্ষিণের এই পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ায় পর্যটকরাও এবার প্রকৃতির কোলে ফিরতে পারবেন। ধাপে ধাপে পর্যটন কেন্দ্রের দরজা খুলছে। পর্যটকরা থাকতেও শুরু করে দিয়েছেন অনেক জায়গায়। এবার অন্তত ৩০ দিন আগে বুকিং করে ঘুরে আসা যেতে পারে বকখালি, দীঘা, কালিম্পঙ।
এর আগে গত ৮ জুন থেকে রাজ্যের পাঁচটি পর্যটন কেন্দ্রের বুকিং নেওয়া শুরু হয়। খুলে দেওয়া হয়েছিল সবুজ জঙ্গল ঘেরা ডুয়ার্সের টিলাবাড়ির ‘তিলোত্তমা’, লাল মাটির দেশ বীরভূমের ‘রাঙ্গাবিতান’, বিষ্ণুপুর, মাইথন আর দক্ষিণে ডায়মন্ড হারবারের ‘সাগরিকা’। এই বিষয়ে রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “লকডাউনে অনেকদিন দরজা খোলেনি পর্যটন দফতরের গেস্টহাউজগুলির। মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে অন্যান্য সব কিছুর মতোই পর্যটন শিল্পেরও দরজা খোলা হচ্ছে। তবে একসঙ্গে নয়, ধাপে ধাপে আমরা কেন্দ্রগুলো খুলব। যেখানে বেশি জায়গা জুড়ে লজ রয়েছে আপাতত সেখানেই বুকিং নেওয়া হবে। সেভাবেই বাছাই করা হচ্ছে সরকারি পর্যটন আবাসগুলো।”
ডুয়ার্সই হোক আর দক্ষিণবঙ্গের পর্যটন ক্ষেত্রগুলি, রাজ্যের সরকারি পর্যটন আবাসগুলোয় সারা বছরই ব্যাপক চাহিদা থাকে। বিশেষ করে পর্যটন মরশুমে একদিনের জন্যেও ফাঁকা থাকে না কোনও ঘর। কিন্তু করোনার দাপট শুরু হতেই দেশজুড়ে শুরু হয় লকডাউন। শুনশান হয়ে যায় সমস্ত পর্যটন ক্ষেত্র। বন্ধ হয়ে যায় এই সরকারি অতিথি নিবাসগুলি।। দীর্ঘ তিন মাসের বেশি সময় সেই সমস্ত পর্যটনকেন্দ্র শুনশান হয়ে পড়ে। এর প্রভাব পড়ে পর্যটন শিল্পেও। সেই জায়গা থেকে ধীরে ধীরে এবার ঘুরে দাঁড়ানোর উদ্যোগ শুরু হয়েছে।