মোট আক্রান্তের নিরিখে আগেই চীন ও ইরানকে টপকে গিয়েছিল ভারত। তারপর এগিয়ে গিয়েছে ইতালি, স্পেন, ব্রিটেনের থেকেও। এখনও রোজ নিজেই নিজের রেকর্ড ভাঙছে করোনা। এদিনও তার অন্যথা হল না। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজার ৯০৩ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এই প্রথম ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার টপকে গেল। এক দিনে এত সংখ্যক মানুষ এর আগে সংক্রমিত হননি। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ৬ লক্ষ ২৫ হাজার ৫৪৪ জন।
গোড়া থেকেই সংক্রমণের শীর্ষে ছিল মহারাষ্ট্র। তার পর সময় যত গড়িয়েছে, এই রাজ্য নিয়ে সারা দেশের শঙ্কা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৩২৮ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন সেখানে। এ নিয়ে সে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হলেন ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৬২৬ জন। তামিলনাড়ু ও দিল্লীও পাল্লা দিয়ে ১ লক্ষের দিকে এগোচ্ছে। তামিলনাড়ুতে মোট আক্রান্ত ৯৮ হাজার ৩৯২ ও দিল্লূতে ৯২ হাজার ১৭৫ জন। দেশের মোট সংক্রমণের মধ্যে ৬০ শতাংশই এই তিনটি রাজ্য থেকে।
আক্রান্ত বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশে মোট মৃত্যু ১৮ হাজার পার করল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৭৯ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যু হল ১৮ হাজার ২১৩ জনের। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ১৭৮ জনের। রাজধানী দিল্লীতে মৃত্যু ধারাবাহিক ভাবে বেড়ে হয়েছে ২৮৬৪। তৃতীয় স্থানে থাকা গুজরাতে মারা গিয়েছেন ১ হাজার ৮৮৬ জন। গত মাসের শেষ দিক থেকে তামিলনাড়ুতেও ধারাবাহিক ভাবে বাড়ছে করোনার জেরে প্রাণহানি। যার জেরে দক্ষিণের এই রাজ্যে মোট মৃত এক হাজার ৩২১ জন।
তবে আক্রান্ত দ্রুত হারে বাড়লেও, ভারতে করোনা রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার পরিসংখ্যানটাও বেশ স্বস্তিদায়ক। এখন দেশে সুস্থ হয়ে ওঠা করোনা রোগীর সংখ্যা সক্রিয় করোনা আক্রান্তের (মোট আক্রান্ত থেকে মৃত ও সুস্থ হয়ে ওঠা বাদ দিয়ে) সংখ্যার চেয়ে বেশি। দেশে মোট আক্রান্তের অর্ধেকেরও বেশি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সুস্থ হওয়ার সংখ্যাটা চার লক্ষের দিকে এগচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজার ৩২ জন সুস্থ হয়েছেন। যা ২৪ ঘণ্টার নিরিখে এখনও অবধি সর্বোচ্চ। এ নিয়ে মোট ৩ লক্ষ ৭৯ হাজার ৮৯২ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হলেন।