আসামে দিন দিন খারাপ হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই আসামের ৩৩টি জেলার মধ্যে ২২টি জেলা জলমগ্ন। গৃহহীন হয়েছেন ১৬ লাখের উপর মানুষ। ইতিমধ্যেই ৩৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছে আসাম ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির কর্মীরা।
ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার গোয়ালপাড়া জেলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যেই জলের তলে ৭২,৭১৭ হেক্টর চাষের জমি। এই বন্যার ফলে প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে রাজ্যের।
যে কয়েকটি জেলা জলমগ্ন সেগুলি হল, ধেনাজি, লখিমপুর, বিশ্বনাথ, চিরাং, দারং, নলবাড়ি, বারপেটা, বনগাইগাঁও, কোকরাঝাড়, ধুবড়ি, দক্ষিণ সলমারা, গোয়ালপাড়া, কামরূপ, কামরূপ (মেট্রো), মরিগাঁও, নগাঁও, গোয়ালঘাট, জোড়হাট, শিবসাগর, ডিব্রুগড়, তিনসুকিয়া, ও পশ্চিম কারপবি আংলং জেলা।
বুধবার আসামে সাত জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। সবথেকে খারাপ অবস্থা বারপেটা জেলার। সেখানে ৮ লাখ ৬০ হাজার মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। দক্ষিণ সলমারা জেলায় সমস্যায় পড়েছেন ১ লাখ ৯৫ হাজার মানুষ। গোয়ালপাড়াতে ৯৪ হাজার ও মরিগাঁওয়ে ৬২ হাজারের বেশি মানুষ জলমগ্ন হয়ে পড়েছেন।
জলমগ্ন কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানও। একশৃঙ্গ গন্ডারের বাসস্থল এই জাতীয় উদ্যানে ইতিমধ্যে ২৫টি প্রাণীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। সেখানকার ২২৩টি ক্যাম্পের মধ্যে ৭৩টি ক্যাম্প জনমগ্ন। মোরিগাঁও জেলাতে পবিতরা অভয়ারণ্যের ২৫টি ক্যাম্পের মধ্যে ১২টি ক্যাম্প জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
আসামের মুখ্যসচিব কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণা বলেন, ‘গোটা রাজ্য জুড়ে বিপর্যয় মোকাবিলার কাজ চলছে। দুর্গত এলাকার বাসিন্দাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হচ্ছে। সব জায়গায় যথাযথ ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে। যাতে কারও কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। পরিস্থিতি আগের থেকে অনেক ভাল হয়েছে।’