মারণ করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করতে বর্তমানে আগের তুলনায় বেশ কিছুটা তৎপর হয়েছে কেন্দ্র। টেস্ট-ট্র্যাক ও ট্রিটের ওপর ভিত্তি করে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। তাই এবার থেকে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই করোনা পরীক্ষা করাতে পারবেন যে কেউ। ল্যাবরেটরিগুলোও সরকারি চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন না থাকলে পরীক্ষা করাতে অরাজি হতে পারবে না। আজই প্রত্যেক রাজ্যকে চিঠি লিখে সেই নয়া নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এতদিন কোভিড পরীক্ষা করাতে হলে, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন প্রয়োজন হতো। এর ফলে অনেক সময়েই পরীক্ষায় দেরি হয়ে গোটা পদ্ধতি বিলম্বিত হয়েছে। কিন্তু এই আনলক-২ পর্যায়ে ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ রুখতে দ্রুত রোগীকে চিহ্নিত করে চিকিৎসা শুরু করা আবশ্যক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেইমতোই ‘টেস্ট-ট্র্যাক-ট্রিট’ মন্ত্র গ্রহণ করা হয়েছে। তার অংশ হিসেবে প্রেসক্রিপশন ছাড়া করোনা পরীক্ষায় ছাড়পত্র দিল আইসিএমআর। এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব প্রীতিসুদন এবং আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভরদ্বাজ যৌথ বৈঠকে একথা জানিয়ে দিয়েছেন।
নয়া নির্দেশিকা আরও বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। দেশের ১০৪৯টি ল্যাবে এই মুহূর্তে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এর মধ্যে সাড়ে সাতশোর বেশি সরকারি। এই ল্যাবগুলোতে পরীক্ষার হার ভাল। কিন্তু বেসরকারি পরীক্ষাগারে কম পরীক্ষা হচ্ছে বলে পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের। তাই বেসরকারি ল্যাবরেটরিগুলোতে যাতে সর্বোচ্চ পরিকাঠামো অনুযায়ী পরীক্ষা হয়, রাজ্যগুলোকে তা নজরে রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ল্যাবে সাধারণত রিয়েল টাইম পিসিআরের সাহায্যে করোনা পরীক্ষা হয়। কিন্তু এবার থেকে ‘অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট’ ও ব্যবহার করা যাবে। মূলত কনটেইনমেন্ট জোন এবং হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে এই কিট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।
এই প্রসঙ্গে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ডিরেক্টর প্রদীপ কুণ্ডু বলেছেন, “এভাবে তো পরীক্ষা করাই যায়। আমাদের কোনও সমস্যা নেই। তবে এর জন্য রাজ্য সরকারকে আলাদাভাবে বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। তবেই আমরা তা করতে পারব। দিনে ৭০০, ৮০০টা পরীক্ষার মধ্যে ৫০টা এধরনের পরীক্ষা করতেই পারি। সবই নির্ভর করছে রাজ্যের উপর। এখানে ল্যাব কম, টেস্টিং কিটও কম। বেসরকারি ল্যাবগুলি এর দায়িত্ব নিলে ভাল হবে।”