লাদাখের গারওয়াল উপত্যকায় চীন-ভারত দ্বৈরথের মতই মানচিত্র বিতর্কে অশান্তি চলছে ভারত-নেপাল সীমান্তে। কিছুদিন ধরেই নেপাল ভারত বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। মানচিত্রে বদল এনে তাঁরা ভারতের তিনটি এলাকা নিজেদের বলে দাবি করছে। গত মাসেই এই নয়া মানচিত্র সংক্রান্ত বিলও সংসদে পাশ করিয়েছে ওলি সরকার। তবে এবার অন্যভাবে ভারতকে জব্দ করার চেষ্টা করছে নেপাল। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের নেপাল সীমান্ত লাগোয়া এলাকা লখিমপুর খেরি থেকে এক চাঞ্চল্যকর খবর মিলেছে। সেখানে নেপালে করোনাভাইরাসে মৃতদের দেহ ভারতে এনে কবর দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নজরে পড়ায় সেই ঘটনা এড়ানো গিয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির কাছে গৌরিফ্যান্টা এলাকায় দুধওয়া ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের কাছ দিয়ে বয়ে গিয়েছে মোহনা নদী। এই নদী সম্প্রতি তার গতিপথ পরিবর্তন করেছে। তার ফলে এই নদীর পাড় আগে নেপাল সীমান্তের অন্তর্ভুক্ত হলেও বর্তমানে তা ভারতের অংশে পড়ছে। কিছুদিন আগেও কয়েকজন নেপালি সে দেশে করোনায় মৃত এক ব্যক্তির দেহ ভারতে কবর দিতে নিয়ে আসে। তাদের আটকানো হলে জানায় যে মোহনা নদী যে গতিপথ পরিবর্তন করেছে তা তাদের জানা ছিল না। তাই ওই এলাকাকে নেপালের অংশ ভেবেই সেখানে মৃতদেহ কবর দিতে নিয়ে আসেন তাঁরা। সেই সময় তাঁদের নেপালে ফেরত পাঠিয়ে দেয় ভারতের সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী।
কিন্তু পাঁচদিন পরে ফের সেই এক ঘটনা। এবার সে দেশে করোনায় মৃত ১১ বছরের একটি ছেলের মৃতদেহ এ দেশে কবর দিতে নিয়ে আসা হয়। এবারও তাঁদের আটকানো হলে এই কাজের সেই একই ব্যাখ্যা দেয় নেপালিরা। তাঁদের দাবি ওই এলাকা নেপালের সীমানার অন্তর্ভুক্ত ভেবেই সেখানে মৃতদেহ কবর দিতে নিয়ে আসে তারা। কিন্তু পর পর দু’বার একই ঘটনা ঘটায় সন্দেহ বেড়েছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে সাধারণ গ্রামবাসী নন, নেপালের কয়েকজন স্বাস্থ্য আধিকারিক এ দেশে ওই মৃতদেহগুলি কবর দিতে নিয়ে এসেছিলেন। এর পরেই সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যেহেতু করোনা রোগীর মৃতদের কবর দিতে এ দেশে নিয়ে আসা হচ্ছে, তাই শুধুমাত্র সীমান্ত সমস্যা ছাড়াও বিষয়টির দিকে নজর রাখছে প্রশাসন।