উচ্চ পর্যায়ের সামরিক বৈঠক চলছে। কূটনৈতিক আলোচনার রাস্তাও খোলা। কিন্তু গালওয়ান উপত্যকা, প্যাংগং লেকে নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা সরাতে রাজি নয় চীন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা, উত্তেজনা কমাতে দু’পক্ষই সহমত— সেনা সূত্রে এমন একাধিক বক্তব্য উঠে এলেও মিলছে না সঠিক সমাধান সূত্র বা প্রক্রিয়া। এই সেনা সরানোর প্রক্রিয়া যে জটিল এবং কঠিন, সে কথাও কার্যত মেনে নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সেনা সূত্রের উল্লেখ করে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দু’পক্ষই সেনা সরানোর প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করেছে। যদিও বেজিংয়ের তরফে সেনা সরানোর আশ্বাস মিলেছে এমন কোনও কথা বলা হয়নি ওই বিবৃতিতে।
ভারতীয় সেনা সূত্রে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত ও চীনের মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি নিয়ে সামরিক ও কূটনৈতিক দুই চ্যানেলেই আলোচনা চলছে। ৩০ জুন কোর কমান্ডার পর্যায়ের তৃতীয় বৈঠক হয়েছে। উভয় পক্ষই দ্রুত ও ধাপে ধাপে সেনা সরানোর বিষয়ে প্রাধান্য দিয়েছে। গত ১৭ জুন দু’দেশের বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে কথোপকথন অনুযায়ী দায়িত্বশীল ভাবে পরিস্থিতি সামলানো হবে।
১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের আগে থেকেই চলছিল ভারত-চিন সামরিক পর্যায়ের বৈঠক। সংঘর্ষের আগে এক বার এবং পরে দু’বার বৈঠক হয়েছে। শেষ কোর কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে ৩০ জুন মঙ্গলবার। ম্যারাথন ওই বৈঠকের পরেও লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা কমবে, এমন আশ্বাস নেই ভারতীয় সেনার তরফে। চিন যে সেনা সমাবেশ কমাবে, এমন কোনও প্রতিশ্রুতি মেলেনি বলেই ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর।