সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার পরে নেপোটিজমের অভিযোগে জেরবার বলিউড। আরব সাগরের তীর থেকে নেপোটিজমের ঢেউ আছড়ে পড়ছে গোটা দেশে। সব পেশাতেই স্বজনপোষণের অভিযোগ। ব্যতিক্রম নয় ভারতীয় ফুটবলও। কখনও নেপোটিজম, কখনও বা নাম বদলে ফেভারিটজম। কোচেদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলছেন বিভিন্ন প্রজন্মের ভারতীয় ফুটবলাররা। কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্সটাইনের জন্যে সেভাবে সুযোগ পাননি, জানালেন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস।
এই ব্যাপারে বঙ্গসন্তানটি জানালেন, “আমিও নেপোটিজমের শিকার। আক্রামভ জাতীয় দলের কোচ থাকলে আমি সিনিয়র দলের হয়ে আরও বেশি ম্যাচ খেলতে পারতাম। স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন কোচ হয়ে আমার কেরিয়ার শেষ করে দিলেন। তখন আমি বারবার উপেক্ষিত হয়েছি। ওঁর আমলে ডাকা প্রথম জাতীয় ক্যাম্পে একটি ঘটনা আজও মনে আছে। বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় লিভারপুলের জার্সি ও ফুল নিয়ে স্টিফেনের ঘরে গিয়েছিল। উনি ওদের যথেষ্ট আপ্যায়ন যথেষ্ট আপ্যায়ন করেছিলেন। পাহাড়ি গ্রুপের এই আয়োজনে সামিল হতে পারিনি। এই ধরনের আচরণ আমার স্বভাববিরুদ্ধ।”
দীপেন্দু বিশ্বাস ভারতীয় ক্লাব ফুটবলে খেলেছেন ২২ বছর। টিএফএ থেকে তিনি মোহন বাগানে সই করেন ১৯৯৬-৯৭ মরশুমে। খেলেছেন তিন প্রধানেই। এছাড়া গায়ে চাপিয়েছেন মাহিন্দ্রা ইউনাইটেডের জার্সি। তাঁর কেরিয়ার অত্যন্ত বর্ণময়। ময়দানের শেষ বাঙালি স্ট্রাইকার বললে দীপেন্দুর মুখই ভেসে ওঠে। নিখুঁত হেড এবং প্রখর ফুটবলবোধ ছিল তাঁর সম্পদ। অনেকেই মনে করেন, শিশির ঘোষের যোগ্য উত্তরসূরি ছিলেন তিনি। কিন্তু ক্লাব ফুটবলে ২৪৮টি গোল করলেও দেশের হয়ে খুব বেশি ম্যাচ খেলেননি দীপেন্দু। রুস্তম আক্রামভের আমলে ভারতীয় দলে বিজয়নের পাশে খেলেছেন তিনি। তখন উইথড্রল হিসেবে খেলতেন ব্রুনো কুটিনহো। কিন্তু স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের প্রশিক্ষণে দীপেন্দু সেভাবে সুযোগই পাননি।