২০১৯-এর লোকসভা ভোটে পুরুলিয়ার মানুষ আস্থা রেখেছিল বিজেপিতে। কিন্তু তারপর থেকেই যেন সেখানে ছন্দপতন হতে শুরু করে গেরুয়া শিবিরে। সাংসদের বিরুদ্ধে ক্ষোভই হোক বা দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা, ফের বিজেপিতে ভাঙন শুরু হয়েছে পুরুলিয়ায়। আনলক-১-এর শুরু থেকেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান যেন প্রতিদিনের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানে। এখনও সেই ধারা অব্যাহত রইল।
আজ পুরুলিয়ার ঝালদা এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে গোপালপুর এলাকা থেকে বিজেপি ও কংগ্রেস ছেড়ে প্রায় ৬০টি পরিবার যোগ দিল শাসক শিবিরে। এদিন তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি শেখ সুলেমান। যোগদানকারী প্রত্যেকেই বলেন, “বিজেপি মুখে যা বলছে, কাজে তা একেবারেই করছে না। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মানুষের জন্যে। সেই জন্যে তৃণমূলের হয়ে কাজ করতে চাই।” তৃণমূলের দাবি, শেষ কয়েকদিন অন্যান্য দল থেকে প্রায় ২৫ হাজার কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
এদিকে, ইতিমধ্যেই জেলার নেতাদের নিয়ে ভিডিও বৈঠকে জেলায় জেলায় সংগঠন মজবুতের নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে দলবদল সেই প্রস্তুতিরই প্রথম ধাপ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। উল্লেখ্য,বাগমুণ্ডি, রঘুনাথপুরের মতো এলাকা থেকে দলেদলে বিজেপি নেতাকর্মীরা যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। আর এতেই চিন্তা বাড়ছে বিজেপির। শুধু পুরুলিয়া নয়, সম্প্রতি মেদিনীপুরের গড়বেতা তিন নম্বর ব্লকের দুই নম্বর কড়সা অঞ্চলে তৃণমূলের কর্মীসভায় প্রায় ৩০০ জন কর্মীকে নিয়ে যোগ দেন বিজেপি নেতা কবিরুল ইসলাম।