কেরালায় গত মাসেই হাতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। এবার কেরালার মতই ফের নৃশংসতার নজির গড়ল বাংলা। মেদিনীপুরের সবংয়ে পিটিয়ে মারা হল ৬টি ভাম বিড়ালকে। একটি ভিডিওর মাধ্যমে গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছেন পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে রাজ্যের বনদফতরে।
সবংয়ের যে ভিডিওটি প্রকাশ্যে এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি গাছের নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ৬টি ভাম বিড়ালের দেহ। সেগুলিকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কেউ এনেছে জাল, কারও হাতে অন্য সামগ্রী। কারও চোখে-মুখে অনুশোচনার চিহ্নও নেই। কিন্তু কেন এই নৃশংস হত্যালীলা? নাহ, এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে এখনও কিছুই জানা যায়নি। তবে সূত্র বলছে, আদিবাসী সম্প্রদায়ের যে যুবকরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাঁরা নিয়মিত শিকার করে। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই তাঁদের বিরুদ্ধে বনদফতরে অভিযোগ দায়ের করে পশুপ্রেমী সংগঠন। কঠোরতম শাস্তির দাবিও জানান তাঁরা। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সবংয়ের বাসিন্দারা।
প্রসঙ্গত, ভামবিড়াল বা সিভেট ক্যাট হত্যা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিল শিকার বন্ধের এই আইন পাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট। ভাম হত্যা করলে সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড ও সেই সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা জরিমানারও বিধান রয়েছে। তা সত্ত্বেও ক্রমাগত ঘটে চলেছে একই ঘটনা। উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে উত্তর ২৪ পরগনার পলতায় ভাম বিড়াল মেরে পিকনিক করার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। সেক্ষেত্রেও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানাজানি হয়েছিল গোটা ঘটনা। জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছিল ২ জনকে।