পিছনো দূর অস্ত, গালওয়ান উপত্যকায় পিপলস লিবারেশন আর্মির উপস্থিতি ক্রমশই জোরদার হচ্ছে। গালওয়ান নদীর ধারে অন্তত ১৬টি তাঁবু আর কালো ত্রিপলের ছাউনি রয়েছে। এমনকি একটি বড় শিবিরও রয়েছে। আর আশপাশে ছড়িয়ে রয়েছে ১৪টি সামরিক যান। জায়গাটির অবস্থান ভারতীয় ভূখণ্ডের অন্তত ৪২৩ মিটার ভেতরে। ২৫ জুনের উপগ্রহ চিত্র থেকে এটাই প্রমাণ পায়।
বিদেশমন্ত্রক সূত্রের খবর, ১৯৬২ সালের যুদ্ধের সময়ও গালওয়ান উপত্যকায় ঢুকে পড়েছিল লালফৌজ। কিন্তু সে বার ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষের পরে তারা নিজেদের স্থির করা ১৯৬০ সালের ‘লাইন’ বরাবর থেমে গিয়েছিল। যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরে সেই অবস্থান থেকে তারা অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এবার ১৯৬০ সালের সেই ‘সীমারেখা’ও চীনা সেনা অতিক্রম করেছে।
১৯৬০ সালে মাও জে দংয়ের সরকার গালওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার যে অবস্থান চিহ্নিত করেছিল এবার তাকেও লঙ্ঘন করেছে শি চিনফিংয়ের লালফৌজ! ‘হাই রেজোলিউশন স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, ষাটের দশকের সেই রেখার অন্তত ৪২৩ মিটার উত্তরে ভারতীয় ভূখণ্ডে ২৫ জুন চীনা বাহিনীর শিবিরের অবস্থান।