রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় উম্পুনের তাণ্ডবের পরই ক্ষতিপূরণ ও ত্রাণ নিয়ে কোনও প্রকার দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেমন কথা, তেমন কাজ। এবার দলনেত্রীর নির্দেশ মেনেই জলপাইগুড়ির ৮ তৃণমূল নেতাকে শোকজ করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী। পাশাপাশি জলপাইগুড়ির প্রাক্তন পুরপ্রধান মোহন বসুর বিরুদ্ধেও অবৈধভাবে বিল্ডিং প্ল্যান পাশ করার অভিযোগে তদন্ত হবে।
যে ৮ তৃণমূল নেতাকে শোকজ করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশকুমার সিং–সহ ৫ কাউন্সিলর। গত শনিবার তাঁদের শোকজের চিঠি পাঠানো হয়। ওই ৮ জন তৃণমূল নেতার মধ্যে ৬ জনই ধূপগুড়ির বাসিন্দা। শোকজের বিষয়টি স্বীকার করে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী বলেন, ‘শোকজের বিষয়টি চিঠিতেই বিস্তারিত লেখা রয়েছে। তবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমের কাছে কিছু বলব না।’ ভাইস চেয়ারম্যান ছাড়া অন্যদের মধ্যে যাঁদের শোকজ করা হয়েছে তাঁরা হলেন- ধূপগুড়ি পুরসভার ৪ কাউন্সিলর মুনমুন বসু, অরূপ দে, গৌতম বসাক ও বিপ্লব ঘোষ।
অন্যদিকে, বিজেপির জেলা পার্টি অফিসের জন্য অবৈধভাবে বিল্ডিং প্ল্যান পাশের অভিযোগ উঠেছে জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহন বসুর বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, মোহন বসু চেয়ারম্যান থাকাকালীন জলপাইগুড়ি শহরের বেশ কয়েকটি বিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে অবৈধভাবে প্ল্যান পাশ করেছেন। কোন পরিস্থিতিতে, কী স্বার্থে তা করা হয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত করবে পুরসভার প্রশাসক বোর্ড। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে মোহন বসুর বিরুদ্ধে।
এদিন জেলা তৃণমূলের যুব সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জি বলেন, ‘বিজেপির জেলা দফতরের জন্য অবৈধ ওই বিল্ডিং প্ল্যান পাশ করার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবে বর্তমান পুর প্রশাসক। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কানেও গিয়েছে এই ঘটনার কথা। তিনিও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, অবৈধভাবে পাশ করা কোনও বিল্ডিং প্ল্যানকে বৈধতা দেওয়া হবে না।’ জানা গেছে, কয়েক কোটি টাকায় গড়ে উঠতে চলা জলপাইগুড়ির ডিবিসি রোডে বিজেপির জেলা পার্টি অফিসের জন্য এই প্ল্যান পাশ করা হয়েছিল।