কেন্দ্রীয় সরকারের আগের ঘোষণা মতো আনলক ওয়ান শেষ হচ্ছে ৩০ জুন মঙ্গলবার। এর পরে ১ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে আনলক টু। এই পর্যায়েও স্কুল-কলেজ সহ কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে না। চলবে না মেট্রো রেল। বন্ধ থাকবে সিনেমা হল থেকে বার। করা যাবে না কোনও বড় সমাবেশ। সোমবার সেই গাইডলাইন প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। একইসঙ্গে দেশজুড়ে ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হল লকডাউন। দেশের কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে এই লকডাউন কার্যকর থাকবে। অন্যত্র ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরার প্রক্রিয়া জারি থাকবে। ১ জুলাই থেকে নতুন নির্দেশিকা কার্যকর হবে।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আগামী ১মাসে কি কি খুলবে আর কি বন্ধ থাকবে?
১. স্কুল, কলেজ সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোচিং সংস্থা বন্ধ থাকবে। অনলাইন ও ডিস্টেন্স এডুকেশন চলবে। তবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের প্রশিক্ষণ সংস্থাগুলি ১৫ জুলাই থেকে বিধিনিষেধ মেনে চলবে।
২. নির্দেশিকা অনুযায়ী, দেশজুড়ে নাইট কারফিউয়ের সময় কমানো হল। ১ জুলাই থেকে রাত ১০ টা থেকে ভোর পাঁচটা অবধি এই কারফিউ জারি থাকবে। তবে শর্তসাপেক্ষে অনেকেই এই কারফিউতে ছাড় পাবেন। এর মধ্যে রয়েছেন শিফটিং ডিউটি থাকা অফিসের কর্মচারীরা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি-সহ অন্যান্যরা।
৩. বন্ধ যাত্রীবাহী লোকাল ট্রেন এবং মেট্রো রেল চলবে না।
৪. আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সিদ্ধান্তে কিছু বিমান চলতে পারে।
৫. দেশের সর্বত্র কনটেনমেন্ট জোনে ৩১ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন চলবে। কোন কোন এলাকা কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত হবে তা ঠিক করবে রাজ্য সরকার কিংবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। সর্বত্র কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশ মতো কাজ করতে হবে। জরুরি পরিষেবা চলবে।
৬. সিনেমা হল, জিমনাসিয়াম, সুইমিং পুল, এন্টারটেনমেন্ট পার্ক, থিয়েটার হল, বার, অডিটোরিয়াম ইত্যাদি বন্ধ থাকবে এই এক মাস। সামাজিক, রাজনৈতিক, ক্রীড়া, বিনোদোন, শিক্ষামূলক, সাংস্কৃতিক কিংবা ধর্মীয় কোনও সমাবেশ করা যাবে না।
৭. প্যাসেঞ্জার ট্রেন ও শ্রমিক স্পেশাল যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে। ঘরোয়া বিমান চলাচল বা বিদেশে আটকে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের নিয়ে আসার প্রক্রিয়াও অব্যহত থাকবে।
৮. ১৫ জুলাই থেকে কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে থাকা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলি খোলা যাবে। তবে আধিকারিক , প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণ নিতে আসা সকলকেই নিয়ম মেনে চলতে হবে।
৯. কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে যে দোকানগুলি রয়েছে, সেখানে একসঙ্গে ৫ জনের বেশি খরিদ্দার হাজির থাকতে পারবেন। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক।
১০. রাস্তাঘাট থেকে অফিস সর্বত্র মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ছ’ফুট বা দু’গজ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। দোকান বাজারে এই বিধি মেনে চলতে হবে।
১১. কোনও বিয়ের অনুষ্ঠানে সর্বাধিক ৫০ জন এবং মৃতের সৎকারে সর্বাধিক ২০ জন উপস্থিত থাকতে পারবে।
১২. সরকারি, বেসরকারি অফিসের কাজ যতটা বেশি সম্ভব ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ পদ্ধতিতে করতে হবে।
১৩. ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক মানুষ, অসুস্থ ব্যক্তি, গর্ভবতি মহিল এবং ১০ বছরের নীচের শিশুদের একান্ত জরুরি কারণ বা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়িতেই থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।