কেন্দ্রের তরফে ঘোষণার আগেই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী জুলাই মাসের শেষ অবধি লকডাউন জারি রেখেছে। এদিকে আজ, ৩০ জুন শেষ হচ্ছে আনলক-১। আর আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে আনলকের দ্বিতীয় পর্ব। ইতিমধ্যেই গতকাল কেন্দ্রীয় সরকার তার গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। আর এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আনলক-২-র জন্য কয়েকটি ছাড়ের কথা ঘোষণা করেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এবার থেকে বিয়েবাড়ি ও শ্রাদ্ধবাড়িতে ৫০ জন উপস্থিত থাকতে পারবেন। আনলকের প্রথম পর্বে এই সংখ্যাটা ছিল ২৫ জন। তা বাড়িয়ে ৫০ জন করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনা সংক্রমণের সতর্কতায় এক জায়গায় অনেক লোকের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। একইসঙ্গে রাজনৈতিক জমায়েতের পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে ধর্মীয় জমায়েতেও। যদিও যাঁদের বিয়ে হচ্ছে তাঁদের মন খারাপ। ইচ্ছে থাকলেও ঘনিষ্ঠ, পরিচিতদের ডাকা যাচ্ছে না। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা বিয়ে বাড়িতে আসতে পারবেন না, তাঁদের দরকার পড়লে হোম ডেলিভারিতে খাবার পাঠিয়ে দেবেন। কিন্তু ৫০ জনের বেশি আমন্ত্রিত থাকা যাবে না।”
এছাড়াও, এদিন মুখ্যমন্ত্রী মর্নিংওয়াকেও ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত মর্নিং ওয়াক করা যাবে বলে জানান মমতা। তিনি বলেন, “মর্নিং ওয়াক করলে মানুষের মন ভাল থাকে। মর্নিং ওয়াক বন্ধ থাকায় অনেকের অসুবিধা হচ্ছিল। তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ মন ভাল না থাকলে শরীরও কারোর ভাল থাকবে না। তবে এরজন্যেও নির্দিষ্ট সময় আমরা বেঁধে দিয়েছি।”
তা ছাড়া আগামীকাল থেকে কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্তে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য করিডরও খুলে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কন্টেইনমেন্ট জোনে লকডাউন কার্যকর করার ব্যাপারে পুলিশকে দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমরা পুলিশকে বলছি, লকডাউন যেখানে বাড়াতে হবে বাড়ান, যেখানে শিথিল করার দরকার মনে করবেন সেখানে তাই করুন।”