শহর পরিবহণের নার্ভলাইন হিসেবে পরিচিত মেট্রো রেল চালাতে গেলে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার সকালে মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল রাজ্য। সেখানে মেট্রো কর্তৃপক্ষ রাজ্যকে সাফ জানিয়ে দেয়, দূরত্ব-বিধি মেনে মেট্রো চালানো সম্ভব নয়। তাই আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত মেট্রো চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
স্বাস্থ্যবিধি মানতে পারলে বুধবার অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে কলকাতায় মেট্রো চালু হতে পারে বলে জানায়েছিল নবান্ন। নির্দিষ্ট দূরত্ববিধি মানতে গেলে যত আসন, তত যাত্রী মেনেই চালাতে হবে মেট্রো। কিন্তু সেই ফর্মুলায় মেট্রো চালাতে গেলে সমস্যা হতে পারে। আরপিএফ দিয়ে মেট্রো চালানো সম্ভব নয় বলেও স্বরাষ্ট্রসচিবকে জানিয়েছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর অনুসারে, সোমবারের বৈঠকে রাজ্য সরকারকে রেলমন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছেন মেট্রো রেলের ৩ আধিকারিক। এ বিষয়ে রাজ্য সরকার চিঠি দিচ্ছে রেলকে।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস থেকে যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং সংক্রমণের সম্ভাবনা যতটা সম্ভব কমানোর ক্ষেত্রে মেট্রোর থেকে রাজ্য সরকার কী কী পদক্ষেপ চাইছে, সে সব নিয়ে সোমবার বৈঠক হয় নবান্নে। এ দিনে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিবহণসচিব প্রভাত মিশ্র, কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা এবং ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। কলকাতা মেট্রোর পক্ষ উপস্থিত ছিলেন সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার মনোজ যোশি ও চিফ অপারেটিং ম্যানেজার সাত্যকি নাথ।
বৈঠক শুরুর আগে কলকাতা মেট্রোর কর্মীরা জানিয়েছিলেন, ট্র্যাকে একসঙ্গে আপ ও ডাউন মিলিয়ে পাঁচটি করে মোট ১০টা রেক থাকে। রেকের প্রতি কামরায় ভিড় সামলাতে দু’জন করে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন রাখলে শুধু ট্রেনেই দেড়শোর বেশি নিরাপত্তারক্ষী লাগবে। এর পরে রয়েছে প্ল্যাটফর্মে ভিড় সামলানোর কাজ। অফিস টাইমে কলকাতা মেট্রোর ২৪টি স্টেশনে যে বিপুল জনসমাগম হয়, তা কী ভাবে সামাল দেওয়া হবে, তা নিয়েও নিশ্চিত কোনও সমাধানসূত্রে আসতে পারেনি সংস্থা।