হঠাৎই হুরিয়ত কনফারেন্সের চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কট্টরপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সইদ আলি শাহ গিলানি৷ ৯০ বছর বয়সী গিলানি একটি সংক্ষিপ্ত অডিও বার্তায় তাঁর ইস্তফার কথা জানিয়েছেন৷ যদিও প্রবীণ এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার এমন সিদ্ধান্তে অনেকেই অবাক৷ তবে বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁর শারীরিক অবস্থা ভাল যাচ্ছিল না৷
হুরিয়ত থেকে গিলানির পদত্যাগ কাশ্মীরের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলে ধরা হচ্ছে। ২০১০ সাল থেকে বেশিরভাগ সময় তিনি গৃহবন্দী হয়ে থাকতেন। অডিও মেসেজে তিনি বলেছেন, ‘হুরিয়ত কনফারেন্সে এখন যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, আমি এই সংগঠন থেকে নিজেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করছি। হরিয়তের প্রত্যেক শরিককে আমি আগেই এ সম্পর্কে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছি।’ অডিও বার্তার পাশাপাশি দু’ পাতার ইস্তফাপত্রও প্রকাশ করেছেন এই হুরিয়ত নেতা৷
সূত্রের খবর, ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সঠিক পদক্ষেপ করতে পারেনি হুরিয়ত। এই অভিযোগে পাকিস্তানের বিভিন্ন গোষ্ঠীর প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে গিলানিকে। শুধু তাই নয়, কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্র এত বড় পদক্ষেপ করার পরও কেন নীরব ছিলেন তা নিয়েও বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। তবে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, দলের সদস্যরা গিলানির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দল ছাড়ার অন্যতম কারণ এটা।
গিলানি তিনবার সোপর থেকে বিধানসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। কাশ্মীরে জঙ্গীবাদ দেখা দেওয়ার পরে তিনি নির্বাচনী রাজনীতি ত্যাগ করেন। একটি সূত্রে জানা যায়, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। জম্মু-কাশ্মীরের রাজনীতিতে বিশাল প্রভাব ছিল এই হুরিয়ত নেতার। উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা তাই বলছেন, গিলানির এই ইস্তফা কাশ্মীরের রাজনীতিতে একটা বড় প্রভাব ফেলতে পারে।