চলতি মাসের মাঝামাঝিই নেপাল থেকে ১০০০ জন শ্রমিককে নিজের দায়িত্বে রাজ্যে ফিরিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল মেদিনীপুর এবং বীরভূমের বাসিন্দা। সেই শ্রমিকদের ফেরানোর পর এবার ‘বন্দে ভারত মিশন’-এর অধীনে মোট ৭৭ জন ডাক্তারি পড়ুয়াকে দেশে ফেরাচ্ছেন বাংলার তৃণমূল সাংসদ তথা প্রখ্যাত অভিনেতা দীপক অধিকারী ওরফে দেব। এই পড়ুয়ারা প্রত্যেকেই লকডাউনের জন্য আটকে ছিলেন রাশিয়াতে। লকডাউনের জেরে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা আপাতত বন্ধ। রাশিয়া থেকে তাই পড়ুয়ারা দেশে ফিরলেন বন্দে ভারত মিশনে। দিল্লি কিংবা মুম্বই এসে, সেখান থেকে কানেকটেড ফ্লাইট ধরে কলকাতায় পৌঁছলেন তাঁরা। এরপর নিজ নিজ জেলায়।
একেবারে নিঃশব্দেই কাজ করে চলেছেন রাজ্যের এই সাংসদ-অভিনেতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেসবের কোনওরকম ছবি নেই। প্রচারের আলো থেকে দূরে থেকেই মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন নিঃশর্তে। অখিলেন্দু করক নামে এক ডাক্তারি পড়ুয়া টুইটারে ক্রমাগত তাঁদের সমস্যার কথা জানাতে থাকেন। সেখানে নরেন্দ্র মোদী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনকী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অমিত শাহকে ট্যাগ করার পাশাপাশি সাংসদ দেবের নামও উল্লেখ করেন তিনি। কারণ, অখিলেন্দু জানতেন, নেপালের পরিযায়ী শ্রমিকদের দেবের দেশে ফেরানোর কথা। প্রসঙ্গত, এর আগে দুবাই থেকেও দেবকে ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল।
খবর পেয়েই ময়দানে নামেন দেব। ওঁদের আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, “আমার টিম তোমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তবে কথা দিতে পারছি না। কিন্তু আমি চেষ্টা করব।” আগের মতোই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরামর্শ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং বিদেশ সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। এরপর সবুজ সঙ্কেত মিলতেই রাশিয়া থেকে বাংলার পড়ুয়াদের ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দেন দেব। অবশেষে ২৭ জুন, অর্থাৎ গতকালই ৭৭ জন পড়ুয়া মস্কো থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা হন।
এভাবে অভূতপূর্ব সাহায্য মেলায় সাংসদ দেবকে ধন্যবাদ জানিয়ে অখিলেন্দু করক একটি টুইটও করেছেন গতকাল মস্কো বিমানবন্দর থেকে। সেখানে তিনি লিখেছেন- “অবশেষ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। অসংখ্য ধন্যবাদ দেব আমাদের এতটা সাহায্য করার জন্য।” পাল্টা উত্তর দিতে ভোলেননি দেব নিজেও। একেবারে আপনজনের মতোই পড়ুয়াদের উদ্দেশে বলেছেন, “শুভযাত্রা”। আপাতত আজ ফিরেই নিয়ম মেনে কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন রাশিয়া থেকে ফেরা ৭৭ জন এই পড়ুয়ারা।