১৯৬৩ প্রি-সিজন ট্যুরের সময় তৎকালীন লিভারপুল ম্যানেজার বিল শ্যাঙ্কলির হাতে একটি অপ্রকাশিত গানের রেকর্ড ধরিয়ে দিয়েছিলেন জেরি মার্সডেন। লিভারপুলের ছেলে মার্সডেনের তৈরি ব্যান্ড ‘জেরি অ্যান্ড দ্য পেসমেকার্স’ ষাটের দশকে কম বিখ্যাত ছিল না। শ্যাঙ্কলিকে দেওয়া সেই গানটিই ছিল ‘ইউ উইল নেভার ওয়াক অ্যালোন’! না ৩০ বছরের খরা কাটার পর আর সত্যিই একা হাঁটবে না লিভারপুল।
ক্লপ যেন আকাশের চাঁদটা পেড়ে আনলেন। সম্ভব করলেন সালাহ্, মানে, ফির্মিনো, রবার্টসন, আলেকজান্ডার আর্নল্ডরা। যাঁদের ব্যক্তিগত স্কিলকে একসুতোয় গেঁথে ফেলার কাজটাই করেছিলেন ক্লপ। গত কয়েক বছরে লিভারপুলের খেলায় যা টের পাওয়া যাচ্ছিল প্রতি মুহূর্তে। গতি, ট্যাকটিক্স, স্ট্র্যাটেজি, গোল করার দক্ষতা সব কিছুই যেন বড় মসৃণ। লাল রঙের ঝাঁ চকচকে ফেরারি যেন। যে গাড়ি চললে ইঞ্জিনের একটা ‘সিগনেচার’ আওয়াজ কানে আসে। তেমনই সালাহ্-ফির্মিনোদের সোনালি দৌড়ের সময় শোনা যেতে শুরু করেছিল, ‘ইউ উইল নেভার ওয়াক অ্যালোন’।
পরপর দু’বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে। প্রথমবার রানার্স হলেও, পরের বার আর সুযোগ হাতছাড়া হতে দেননি ক্লপের ছাত্ররা। গত বছর এই টিমই বিশ্ব ক্লাব কাপ চ্যাম্পিয়ন প্রথমবারের জন্য। অল্পের জন্য গত মরসুমে খেতাব হাতছাড়া। পেপ গুয়ার্দিওলার টিম বৃহস্পতিবার রাতে চেলসির কাছে ১-২ হেরে গিয়েই খেতাব তুলে দিল লিভারপুলের হাতে।
ম্যাচ শেষ হতেই ফর্মবি হল গল্ফ রিসর্ট অ্যান্ড স্পা-তে উৎসব শুরু করেন ফির্মিনো-মানেরা। ক্লপ নাচেন অদ্ভুত কায়দায়। স্টিভন জেরার কৃতিত্ব দিয়েছেন ক্লপকে।
গার্সিয়া-তোরেস-সুয়ারেসরাও অভিনন্দন জানিয়েছেন। বাস্কেটবল তারকা লেব্রন জেমস, বিটলসের রিঙ্গো স্টার, হলিউড অভিনেতা স্যামুয়েল এল জ্যাকসন উচ্ছ্বসিত প্রিয় টিমের জয়ে।