পাক অলরাউন্ডার সংক্রমণ নিয়ে রহস্য ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। কখনও পজিটিভ আবার কখনো নেগেটিভ, আবার পজিটিভ। তারই সঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। আগামী রবিবার ইংল্যান্ড রওনা হওয়ার কথা পাকিস্তান দলের। শেষ পর্যন্ত এই মারণ ভাইরাস বাবর আজমদের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় কি না, সেটাই এখন দেখার।
গত মঙ্গলবার প্রথম দফার করোনা পরীক্ষার পরে পিসিবি জানিয়েছিল, মোট দশজন ক্রিকেটারের শরীরে করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। তারমধ্যে হাফিজ একজন। তার পরের দিনই ব্যক্তিগতভাবে করোনা টেস্ট করিয়েছিলেন এই পাক অলরাউন্ডার তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
ঠিক এরপর শুক্রবার পিসিবি-র একটি সূত্র জানিয়েছে, যেখানে ক্রিকেটারদের প্রথম দফার করোনা পরীক্ষা হয়েছিল অর্থাৎ শওকত খানুম মেমোরিয়াল হাসপাতাল, সেখানেই হাফিজের থুতুর নমুনা দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করা হয়েছে এবং যথারীতি তার ফল পজিটিভ এসেছে। এই নিয়েই তীব্র জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।
শোনা গিয়েছে, শনিবারের ফল ঘোষণা করার সময় যদি জানা যায়, হাফিজের পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে, তা হলে বোর্ড তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনতে পারে। বোর্ড সে ক্ষেত্রে যুক্তি দেবে, নিভৃতবাসে যাওয়ার পরিবর্তে হাফিজ নিজের উদ্যোগে নতুন ভাবে করোনার পরীক্ষা করিয়ে বোর্ডের নির্দেশকেই অমান্য করেছেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক তার এক ঘনিষ্ঠ জানাচ্ছেন, “প্রথম বার করোনার ফল পজিটিভ আসায় হাফিজ় খুব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। তাই নিজের উদ্যোগে দ্বিতীয়বার করোনার পরীক্ষা করায়। বোর্ডকে অস্বস্তিতে ফেলার কোনও উদ্দেশ্যই ওর ছিল না।”