তিন দিন ধরে খুবই চিন্তায় রয়েছেন ভোজরাজ পাতিদার৷ মধ্যপ্রদেশে যখন কমলনাথ সরকার ছিল, তখন ৮৩ হাজার টাকার ঋণ তাঁর মকুব হয়ে যায়৷ ঋণ মকুবের সেই সার্টিফিকেটও রয়েছে তাঁর কাছে৷ এখন আবার ব্যাঙ্ক তাঁকে ও তাঁর ছেলেকে সেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে৷
ভোপালের উপকণ্ঠে মিসরোদ গ্রামে ভোজরাজের ১০ একর জমি আছে৷ কংগ্রেস সরকার মধ্যপ্রদেশে প্রথম পর্যায়ে যে ২২ লক্ষ কৃষকের ঋণ মকুব করেছিল, তাঁদেরই একজন ভোজরাজ৷ কো-অপারেটিভ সোসাইটি থেকে ৩ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন৷ ৮৩ হাজার টাকা ঋণ মকুব হয়ে যায় কংগ্রেস সরকারের আমলে৷ সার্টিফিকেটও পান তিনি৷
মার্চ মাসে কংগ্রেস সরকার পড়ে যাওয়ার পরেই ঋণ মকুব প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ এবার ভোজরাজের মতো কয়েক লক্ষ কৃষককে ব্যাঙ্ক ডিফল্টার বা ঋণখেলাপির তকমা দিচ্ছে৷ আরেক কৃষক সন্তোষ পাতিদার জানাচ্ছেন, তাঁকেও একই ভাবে কংগ্রেস সরকারের আমলে মকুব হয়ে যাওয়া ঋণ ফেরত দিতে চাপ দিচ্ছে ব্যাঙ্ক৷ তাঁর কথায়, ‘সরকার পরিবর্তন হলেও আমার কিছু যায় আসে না৷ আমি টাকা কেন ফেরত দেব? আমার কাছে ঋণ মকুবের সার্টিফিকেট আছে৷’
মিসরোদের কো-অপারেটিভ সোসাইটির ম্যানেজার নাদিম খান জানাচ্ছেন, বর্তমান রাজ্য সরকার টাকা দিলেই আমরা আবার কৃষকদের ঋণ মকুব করে দেব৷
কংগ্রেস সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ৪৮ লক্ষ কৃষকের কৃষি ঋণ মকুব করে দেওয়া হবে৷ ২২ লক্ষ কৃষকের ঋণ মকুবও হয়ে যায়৷ কিন্তু ঋণ মকুব শুরু হওয়ার পরেই সরকারের পতন হয়৷ এখন বিজেপি সরকার ঋণ মকুব নিয়ে কোনও কথাই বলছে না৷ ফলে ১৫ লক্ষ কৃষক অন্ধকারে৷