অবিলম্বে ব্যাঙ্কের লোন শোধ করতে হবে। ফোনে ব্যাঙ্কের তরফে এই বার্তাই এসেছিল। আর তার পরেই পড়ি কি মরি করে ১৫ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে গিয়েছিলেন অসহায় কৃষক। কিন্তু খারাপ কপাল বোধহয় একেই বলে। কারণ লোন পরিশোধ করতে হত মাত্র ৩ টাকা ৪৬ পয়সার! শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এমনই ঘটনা ঘটেছে কর্ণাটকের শিমোগা জেলায়।
প্রসঙ্গত, ব্যাঙ্ক থেকে ফোন পেয়ে রীতিমতো ঘাবড়ে গিয়েছিলেন কৃষক আমদে লক্ষীনারায়ন। অবিলম্বে ব্যাঙ্কের লোন শোধ করতে হবে এই মর্মেই শহরের কানারা ব্যাঙ্ক থেকে ফোন আসে তাঁর কাছে। বহুদিন আগে এক কৃষি ঋণ নেওয়া হয়েছিল ওই ব্যাঙ্ক থেকে। কিন্তু কত টাকা? লোন শোধের শেষ দিন কবে? তাড়াহুড়োয় সেসব শোনার কথা ভুলেই গিয়েছিলেন তিনি। এদিকে ঋণ শোধ করতে তল্পিতল্পা গুটিয়ে শহরের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন ওই কৃষক।
করোনা ও লকডাউনের জেরে গ্রাম থেকে শহরে যাওয়ার জন্য মেলেনি বাস। অতঃপর ১৫ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে কৃষক তখন ব্যাঙ্কে পৌঁছন। এবং ব্যাঙ্ক আধিকারিক কে লোনের বিষয়ে প্রশ্ন করেন, তখন ব্যাঙ্কের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় ৩ টাকা আছে ৪৬ পয়সা লোন বাকি রয়েছে তার। লোনের বকেয়া শোনার পর রীতিমতো হকচকিয়ে যান ওই কৃষক।
এরপর ঋণ শোধ করে ব্যাঙ্ক কর্মীদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তিনি। উত্তরে ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়, অডিটিং চলছিল যার জেরে প্রত্যেককের দেনা শোধ করার জন্য ফোন করা হচ্ছিল। স্বাভাবিকভাবেই ওনাকে ফোন করা হয়।
ওই কৃষকের দাবি অনুযায়ী বহুদিন আগে ৩৫ হাজার টাকা ব্যাঙ্ক থেকে কৃষি ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। পরে তা থেকে ৩২ হাজার টাকা সরকার মাফ করে দিলে বাকি ৩০০০ টাকা ফেরত দিয়ে লোন পরিশোধ করেন ওই কৃষক।
তাঁর কথায়, এরপর যখন ব্যাঙ্ক থেকে এমন ফোন আসে তখন স্বাভাবিকভাবেই ভয় পেয়ে যাই আমি। রাস্তায় গাড়ি না থাকায় পায়ে হেঁটে ১৫ কিলোমিটার গিয়ে ব্যাঙ্কে আধিকারিককে প্রশ্ন করতে তিনি জানান, তার ঋণ বাকি রয়েছে মাত্র ৩ টাকা ৪৬ পয়সা। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি চমকে যাওয়ার মত। যদিও সে টাকা আমি শোধ দিয়ে এসেছি।