২০২০ সালের প্রথম দু’টি ত্রৈমাসিকেই অর্থনীতি যে ধাক্কা খেয়েছে, তাতে এ বছর তার বহর সঙ্কুচিত হওয়া অবশ্যম্ভাবী। আগেই এমন আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে মূল্যায়ন সংস্থা মুডিজ ইনভেস্টর্স সার্ভিস। তাদের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, চলতি ক্যালেন্ডারবর্ষে ভারতের অর্থনীতি সরাসরি ৩.১ শতাংশ কমবে। সম্প্রতি ভারতের আর্থিক বৃদ্ধিতে ৪.৫ শতাংশ সঙ্কুচিত হবে বলে পূর্বাভাষ দিয়েছিল আইএমএফ-ও। লকডাউন শিথিল হওয়ার পরে ধীরে ধীরে দেশের আর্থিক কর্মকাণ্ড শুরুর মুহূর্তে এবার তার চেয়েও খারাপ খবর শোনাল আন্তর্জাতিক মূল্যায়ণকারী সংস্থা এস অ্যান্ড পি। চলতি অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনীতি ৫ শতাংশ সঙ্কুচিত হবে, জানাচ্ছে তারা। করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকারি ব্যর্থতার দিকে আঙুল তুলে এস অ্যান্ড পি বলছে, দিনে দিনে ভারতের অর্থনৈতিক সঙ্কট গভীরতর হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে উৎপাদন বন্ধ ছিল টানা দু’মাস। পণ্যের জোগান ছিল না। নগদের অভাবের কারণে চাহিদাতেও ঘাটতি দেখা গিয়েছে। বাজারের টালমাটাল পরিস্থিতির জন্য লগ্নীকারীরাও হাত গুটিয়ে নিচ্ছেন। বিনিয়োগ নেই। চাহিদা বাড়াতেও সরকারও বিশেষ খরচ করেনি। ফলে এখন অর্থনৈতিক ক্ষেত্রগুলি খুলে দেওয়া সত্ত্বেও যা হারে বাজারে চাহিদা বাড়ার কথা ছিল, তা হচ্ছে না। ব্যাঙ্কগুলিও আগের মতো ঋণ দিতে চাইছে না। ফলে সমস্যা ক্রমেই বাড়ছে, জানাচ্ছে সংস্থা। একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে মূল্যায়ণকারী সংস্থা বলছে, চলতি বছরে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে তিন ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের উৎপাদন কমবে। ওই অঞ্চলের অর্থনীতি ১.৩ শতাংশ সঙ্কুচিত হবে। তবে আগামী অর্থবর্ষে বৃদ্ধির পূর্বাভাষ দিয়ে তারা জানিয়েছে, ২০২১ সালে ৬.৯ শতাংশ হারে অর্থনীতিতে বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাবে।