মুমূর্ষু করোনা রোগীর চিকিৎসায় এ বার সস্তার স্টেরয়েড ডেক্সামেথাসোন ব্যবহারে সবুজ সংকেত দিল সরকার। শনিবারই স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে জানানো হয়, এবার আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা করোনা রোগীদের উপর ব্যবহার করা হবে এই ওষুধ। দিন কয়েক আগেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ব্রিটেনে এই ওষুধ অভাবনীয় সাড়া ফেলেছিল। হু এই ওষুধকে স্বাগত জানিয়েছিল সেই সময়ে।
অক্সফোর্ডের গবেষকরা বলেন, ডেক্সামেথাসোনই প্রথম বাজারচলতি কোনও ওষুধ যা করোনা মোকাবিলায় আশা দেখাতে শুরু করেছে। তাঁরা আরও জানান, ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীর ক্ষেত্রেও মৃত্যুর সম্ভাবনা এক তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনে এই ওষুধ। যদিও এই ওষুধকে লাইফ সেভিং ড্রাগ হিসেবেই ব্যবহার করছেন তাঁরা। অর্থাৎ গুরুতর পরিস্থিতি ছাড়া এই ওষুধ ব্যবহারে লাভ নেই।
১৯৬০ এর দশক থেকেই ডেক্সামেথাসোন জাতীয় ওষুধ প্রদাহ কমাতে ব্যবহৃত হয়। ক্যানসারের চিকিৎসাতেও ওই ওষুধ একাধিকবার কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে। অক্সফোর্ডের গবেষকরা বলছেন, প্রথম থেকে এই ওষুধ ব্যবহার করলে বহু মৃত্যু এড়ানো যেত।
পরীক্ষা চালানোর সময় ২ হাজার ১০৪ জন গুরুতর করোনা আক্রান্তের উপর এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছিল। দেখা যায় সংকটাপন্ন রোগীদের ক্ষেত্রে এক পঞ্চমাংশ এই ওষুধের প্রয়োগে মৃত্যু ঠেকানো গেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে গত ১৩ জুনৱ নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল করোনা রোগীদের উপর বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ মেনে রেমডিসিভির ব্যবহার করা হবে। পরীক্ষামূলক ভাবে প্লাজমা থেরাপি এবং অপেক্ষাকৃত কম সংকটাপন্ন রোগীকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়ার নির্দেশও ছিল।
নতুন নির্দেশিকায় নাম এসেছে ডেক্সামেথাসোনের। বলা হচ্ছে. রোগীকে ০.১ মিলিগ্রাম থেকে ০.২ মিলিগ্রাম হিসেবে তিনদিন এই ওষুধ দেওযা হবে।