গোটা বিশ্বেই বিগত কয়েক মাস ধরে হাজারও গবেষণা চলছে, পরীক্ষা-নিরিক্ষা চলছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর কোন দেশই করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেনি। ওষুধ মিলেছে এমন কোন তথ্য স্বীকার করেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। কিন্তু এরই মধ্যে রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে করোনার আয়ুর্বেদিক ওষুধ ‘করোনিল’ বাজারে এনেছেন যোগগুরু বাবা রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি। যদিও এই ওষুধ বাজারে আনার জন্য কেন্দ্রীয় আয়ুস মন্ত্রকের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি এই সংস্থা। এর ঠিক পরই পতঞ্জলিকে নোটিশ পাঠিয়েছে সরকার। শুধু তাই নয়।এই ওষুধ প্রয়োগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মহারাষ্ট্র এবং রাজস্থান সরকার। যদিও ইতিমধ্যেই বিনা অনুমতিতে পতঞ্জলির এই ওষুধ করোনাভাইরাস রোগীর ওপর প্রয়োগ করার ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে এবার এফআইআর দায়ের করা হল বাবা রামদেব, পতঞ্জলির সিইও আচার্য বালকৃষ্ণের বিরুদ্ধে। এনারা ছাড়াও আরো চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
জয়পুরে রামদেবের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করে বলা হয়েছে, তিনি মানুষকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করছেন। তিনি আদতে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। সেই প্রেক্ষিতেই এই মামলা রুজু। বাবা রামদেব এবং আচার্য বালকৃষ্ণ ছাড়া বিজ্ঞানী অনুরাগ ভারসনি, এন আই এম এস চেয়ারম্যান বালবির সিং তোমার এবং ডিরেক্টর অনুরাগ তোমারের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গতকালই পতঞ্জলির আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিনা অনুমতিতে পরীক্ষা করার জন্য প্রয়োগ করা হয় এক করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর ওপর। জয়পুরের এন আই এম এস হাসপাতালে এই কাণ্ড ঘটে। এর পরেই রাজস্থানের স্বাস্থ্য দফতর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে পুরো ঘটনার বিষয়ে জানতে চেয়েছে। সরকারে থেকে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে, এমন কোনো অনুমতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়নি।