অনন্তনাগের বিজবেহারাতে সিআরপিএফ-এর একটি টহলদারি দলের উপরে হামলা চালায় জঙ্গীদের একটি দল৷ জঙ্গি হামলায় গুরুতর আহত হয় সিআরপিএফে কর্মরত ২৭ বছর বয়সি শ্যামল কুমার দে এবং স্থানীয় একটি বালক৷ পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁদের দু’ জনেরই মৃত্যু হয়৷ জানা গেছে আর ২ মাস পরেই শ্যামলের বিয়ে হবার কথা ছিল।
শ্যামল পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং-এর সিংপুর গ্রামের বাসিন্দা৷ পরিবারের একমাত্র ছেলের মৃত্যুর খবরে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া৷ শোকে বিহ্বল গোটা সিংপুর গ্রাম৷
জওয়ানের মৃত্যুর খবর পেয়ে এ দিন তাঁর বাড়িতে যান তৃণমূল সাংসদ মানস ভুঁইয়া এবং সবং-এর বিধায়ক গীতা ভুঁইয়া৷ পাশাপাশি জেলা পুলিশ প্রশাসনের কর্তারাও নিহত জওয়ানের বাড়িতে যান৷ সম্ভবত শনিবারই শহীদ জওয়ানের দেহ তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসা হবে৷ মানসবাবু জানান, শহীদ জওয়ানের জন্য গোটা সবংবাসী গর্বিত৷ সরকার এবং দলের তরফে নিহত জওয়ানের পরিবারের পাশে থাকা হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ৷
শহীদ জওয়ানের পরিবার সূত্রে খবর, মাস দু’য়েক পরেই শ্যামলের বিয়ে ছিল৷ তিনিই ছিলেন বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান৷ বিয়ে উপলক্ষে নতুন বাড়ি তৈরির কাজ চলছিল৷ নির্মাণ সামগ্রী কেনার বিষয়ে কথা বলার জন্য এ দিন বেলা বারোটা নাগাদ শ্যামলকে ফোন করেন তাঁর বাবা৷ কিন্তু বার দু’ য়েক চেষ্টা করেও ছেলেকে ফোনে পাননি তিনি৷ এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সিআরপিএফ-এর তরফে ফোন করে নিহত জওয়ানের বাবাকে তাঁর ছেলের মৃত্যু সংবাদ দেওয়া হয়৷ ছেলেকে এভাবে হারিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই শোকস্তব্ধ পরিবার।