করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই সম্প্রতি একটি টেনিস প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছিলেন বিশ্বখ্যাত টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচ। যেই টুর্নামেন্ট নিয়ে ক্রমশ কাজিয়া বাড়ছে। সার্বিয়ার বেলগ্রেড এবং ক্রোয়েশিয়ার জাদারে সেই টুর্নামেন্টে খেলতে নেমে ইতিমধ্যে অনেকেই করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। সেই নিয়েই এ দিন বক্তব্য রেখেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিতর্কিত টেনিস তারকা নিক কিরিয়স। শুরু থেকেই জোকারের এই টুর্নামেন্টের সমালোচনা করেছেন কিরিয়স। এদিন তিনি বলেছেন, ‘নোভাকের বাবা যেভাবে দিমিত্রভের ওপর করোনা ছড়ানোর দোষ চাপাচ্ছেন তা একদমই ঠিক নয়। এ ভাবে নিজের ছেলের ঘাড় থেকে দায় এড়ানোটা একদম ঠিক নয়। অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানো একদমই উচিত নয়।’
তাঁর আয়োজিত প্রতিযোগিতা থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়ার পরে আন্তর্জাতিক টেনিস দুনিয়ায় ক্রমশ বন্ধু হারাতে শুরু করেছেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড় জোকোভিচ। এমনকি দাবি উঠেছে, এটিপি খেলোয়াড় পরিষদের প্রেসিডেন্ট পদ থেকেও তিনি ইস্তফা দিন। বিশ্বের ৩৫ নম্বর খেলোয়াড় গিদো পেয়া জোকোভিচের প্রবল সমালোচনা করে বলেছেন, ‘সীমা অতিক্রম করে গিয়েছিল ও। বহু মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য নিয়ে ছেলেখেলা করল নোভাক। গোটা বিশ্ব ও টেনিস প্রশাসনকে অসম্মান জানিয়েই এই পদক্ষেপ।’
বুলগেরিয়ার খেলোয়াড় দিমিত্রভের এজেন্ট বলেছেন, ‘তিন মাস নিভৃতবাস পালন করার পরে গ্রিগর সরাসরি এসেছিল বেলগ্রেডে। সেখানে কিংবা জাদারে, কোথাওই করোনা ভাইরাস পরীক্ষার প্রয়োজন হয়নি। গ্রিগরকে কেউ পরীক্ষা করাতেও বলেনি। আয়োজকেরাই এর জন্য দায়ী।’ প্রসঙ্গত,
জোকোভিচের আয়োজিত এই প্রীতি প্রতিযোগিতায় করোনার সময়ে তৈরি হওয়া নিষেধাজ্ঞা কিছুই মানা হয়নি। এমনটাই জানা গেছে সম্প্রতি।
সূত্রের খবর, সেখানে শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখেই খেলোয়াড়েরা নৈশ পার্টি করেছেন, বাস্কেটবল খেলেছেন। যার কোনও প্রয়োজনই ছিল না বলে বিতর্ক আরও বেড়েছে। আয়োজক ও খেলোয়াড়দের এই আচরণেরও সমালোচনা করেছেন উইম্বলডনের প্রধান রিচার্ড লিউইস। জুলাই মাসে দায়িত্ব থেকে সরবেন তিনি। এ দিন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে লিউইস বলেন, ‘ছবিতে যা দেখলাম, তা হতাশাজনক। শুধু খেলোয়াড় নন, আয়োজক, দর্শক, প্রশাসক কেউ নিয়ম মানেননি। এটা সকলের কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার বিষয়। আশা রাখি, আক্রান্তেরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।’