১৪ হাজার, ১৫ হাজার, ১৬ হাজার, ১৭ হাজার…। প্রত্যেক দিন আগের দিনের চেয়ে অন্তত ১ হাজার বেশি নতুন কোভিড রোগীর সন্ধান মিলছে দেশে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা আজ ৪.৭৪ লক্ষ পেরিয়েছে। এ ভাবে সংক্রমণ বাড়লে রবিবারের মধ্যেই দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লক্ষ পেরোবে বলে আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন ভীষণ দরকার হয়ে পড়ছে। পুণের সেরাম ইনস্টিটিউটের এক শীর্ষ কর্তা জানান, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি ‘চ্যাডক্স-১ এনসিওভি-১৯’ ভ্যাকসিনটি জুলাইয়েই তৈরি শুরু করতে পারেন তাঁরা। ওই প্রতিষেধকের প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শেষ হয়েছে। ফল বেরোতে পারে জুলাইয়ের গোড়ায়।
সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার দাবি, অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের প্রথম পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ভাল ফল মিলছে। সব ঠিক থাকলে আগামী জুলাইতেই কয়েক লক্ষ ভ্যাকসিন তারা তৈরি করে ফেলবে। প্রাথমিকভাবে ৩০ লক্ষ ডোজ তৈরি হবে। পরবর্তী সময়ে উৎপাদনের হার কয়েক লক্ষ হয়ে যাবে।
আরও জানা গেছে ভ্যাকসিনটির দু’টি ডোজ যে কার্যকর হবে, অক্সফোর্ডের গবেষেকেরা সেই বিষয়ে নিশ্চিত। তাঁরা বাঁদরের উপরে প্রতিষেধকটি পরীক্ষা করেছিলেন। দেখা গিয়েছে, একটি ডোজ সংক্রমণ রুখতে না-পারলেও নিউমোনিয়া আটকে দিয়েছে। সেরাম-কর্তা জানান, বাঁদরগুলিকে অত্যধিক ভাইরাসের সংস্পর্শে আনা হয়েছিল। সেখানে প্রতিষেধকের মাত্র একটি ডোজই দেওয়া হয়েছিল তাদের।
ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকাতেও এই প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চলবে। ইতিমধ্যেই প্রতিষেধক ট্রায়াল নিয়ে অক্সফোর্ডের সঙ্গে ব্রাজিলের এক স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কথা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে চ্যাডক্স ভ্যাকসিন টিমের প্রধান সারা গিলবার্টকে ইমেল করা হলে তিনি জানান, “চ্যাডক্স নিয়ে ট্রায়াল চলছে। এবং তার রেজাল্টও আশানুরূপ। এই চ্যাডক্স প্রতিষেধক নিয়ে আগেও কাজ করেছি।”