গত ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় চীনা সেনার আক্রমণে শহীদ হয়েছেন ২০ ভারতীয় জওয়ান। এই পরিস্থিতিতে দেশে চলছে প্রবল চীন বিরোধী বিক্ষোভ। চীনের পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে কর্মসূচী নিতে শুরু করেছে বিভিন্ন সংগঠন। কেউ কেউ দাবি তুলছেন, চীনের পণ্য সম্পূর্ণ বয়কট করে চীনকে ভারতীয় বাজার থেকে পাততাড়ি গোটাতে বাধ্য করতে হবে। ভারতের বিশাল বাজার হাতছাড়া হলে বিপদে পড়বে চীন। কিন্তু চীনা পণ্য আমদানিতে চটজলদি দেওয়াল তুললে, জোগান-শৃঙ্খল ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছে শিল্প মহলের একাংশ। কাঁচামালে টান পড়লে, বাজার হারানোর ভয় পাচ্ছেন রপ্তানিকারীরা। সেই আশঙ্কা কেন্দ্রের কানে তুলে দেওয়ারও চেষ্টা করছেন তাঁরা। কিন্তু তার পরেও পড়শি মুলুকের পণ্যের বিরুদ্ধে ‘জেহাদ’ জোরালো করছে সরকারের একাংশ! করোনা-সঙ্কট কাটিয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার পথে তা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
বৃহস্পতিবার রপ্তানিকারী সংস্থাগুলির সংগঠন ফিয়োর প্রেসিডেন্ট শরদ কুমার সরাফের বক্তব্য, ‘চীনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে সরকার যে অর্থনীতিকে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করছে, সেই উদ্যোগে আমরা পাশে। কিন্তু মাথায় রাখা দরকার, বহু জরুরি কাঁচামালের বিষয়ে এ দেশের শিল্প চিনের উপরে নির্ভরশীল।’ অর্থাৎ, রাতারাতি তা আসা বন্ধ হলে, শিল্প এবং রপ্তানি মার খেতে পারে বলে ইঙ্গিত। সূত্রের খবর, বৈদ্যুতিন পণ্যের চীনা যন্ত্রাংশের বিষয়ে কড়াকড়ির কারণে অসুবিধায় পড়ার কথা ইতিমধ্যে অর্থ মন্ত্রকে জানিয়েওছে সংশ্লিষ্ট শিল্প। কিন্তু এরই মধ্যে বিদ্যুৎমন্ত্রী আর কে সিংহ সৌর মডিউল, সৌর সেলে চড়া আমদানি শুল্ক বসানোর কথা জানিয়েছেন। এছাড়া, সাইবার আক্রমণ রুখতে বিভিন্ন যন্ত্র আমদানির আগেও অনুমতি নিতে হবে। অর্থাৎ নিশানা সেই চীনই। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণও চীন থেকে কাঁচামাল আমদানি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।