জুলাইয়ের আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে সিদ্ধান্ত না নেওয়ার মনোভাবে অনড় থাকলেও ক্রমশ চাপ বাড়ছে আইসিসি-র উপরে। ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আজ, বৃহস্পতিবার ফের টেলিকনফারেন্সে বোর্ড মিটিং করতে চলেছে। সরকারি ভাবে সেই বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা নয়। বিদায়ী চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহরের উত্তরসূরি কী ভাবে বেছে নেওয়া হবে, সেই মনোনয়ন প্রক্রিয়া নিয়েই বৈঠক।
প্রাক-বৈঠক আলোচনায় অনেক দেশই বলতে শুরু করেছে, আর কেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে অপেক্ষা করছি? অস্ট্রেলিয়া আয়োজক দেশ। তারা পর্যন্ত বলে দিয়েছে, অক্টোবর-নভেম্বরে তাদের দেশে বিশ্বকাপ করার ভাবনা ‘অবাস্তব’। অস্ট্রেলীয় সরকার এখনও সীমান্ত খোলার কথা জানায়নি। বাকি সব দেশে লকডাউন চলছে। উড়ান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল হয়নি। আর কত দিন অপেক্ষা করা হবে?
এত দিন সদস্যরা গোপন ব্যালটে ভোট দিয়ে আইসিসি প্রধান বেছে এসেছেন। এ বার করোনাভাইরাস অতিমারির জেরে লকডাউন চলছে। কেউ সশরীরে হাজির হয়ে ভোট দিতে পারবেন না। তা হলে কী ভাবে গোপনীয়তা রক্ষা করা সম্ভব? সে সবের সন্ধান পেতে এই সভার ডাক।
অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক টিম পেন পর্যন্ত মঙ্গলবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, বিরাট কোহালিদের বিরুদ্ধে বক্সিং ডে টেস্ট মেলবোর্নে হবে কি না, তা নিয়ে। মেলবোর্নে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে খবর। বক্সিং ডে টেস্ট সেই ডিসেম্বরের শেষে। অত দূরের টেস্ট ম্যাচ নিয়েই যদি সংশয় তৈরি হয়, তা হলে অক্টোবরে বিশ্বকাপ হবে কী ভাবে? অস্ট্রেলিয়ায় খোঁজ নিয়ে জানা গেল, তাদের দেশের বোর্ডও ধরে রেখেছে, বিশ্বকাপ এ বছরে হচ্ছে না। শুধুই সরকারি সিলমোহর পড়া বাকি। সেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা কি বৃহস্পতিবারের আইসিসি বৈঠকেই হয়ে যেতে পারে? নিশ্চিত করে বলা না-গেলেও সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে তা বলাই যায়।