মাস্ক-স্যানিটাইজারের পর এবার ধীরে ধীরে আরও বাণিজ্যকরণের পথে হাঁটতে চলেছে সদ্য শতবর্ষে পা দেওয়া ইস্টবেঙ্গল। বিদেশি ক্লাবগুলোর অনুকরণে আর্থিক ভাবে শক্তিশালী হওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে আবাসন প্রকল্প, স্কুল, রেস্তরাঁ তৈরির প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেল লাল-হলুদ শিবিরে।
প্রাক্তন লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। নতুন স্পনসর কে হবে তা এখনও চূড়ান্ত নয়। এই পরিস্থিতিতে ক্লাবের আর্থিক আয় কী ভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা করতেই বুধবার বিকেলে ক্লাব তাঁবুতে বৈঠকে বসেছিলেন কার্যকরী কমিটির সদস্যেরা। সেখানেই ইস্টবেঙ্গলের এক শীর্ষ কর্তা বললেন, ‘বিদেশি ক্লাবগুলোর মতো আমরাও বাণিজ্যকরণ করতে পারি কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ক্লাবের আর্থিক উন্নতির জন্য কী পদক্ষেপ করা উচিত, সেই পরামর্শ চাওয়া হয়েছে সকলের কাছে।’
কিন্তু এই আর্থিক ভাবে সাবলম্বী হওয়ার রূপরেখা কী? লাল-হলুদ শিবিরের কর্তা বললেন, ‘রাজারহাটে জমি কিনে সেখানে আবাসন গড়তে পারি। এ ছাড়া স্কুল ও রেস্তরাঁ তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে।’ কী ভাবে গড়া হবে আবাসন ও স্কুল? ইস্টবেঙ্গল কর্তার ব্যাখ্যা, ‘আবাসন প্রস্তুতকারী কোনও সংস্থার সঙ্গে আমরা গাঁটছড়া বাঁধতে পারি। একই ভাবে স্কুল-রেস্তরাঁ তৈরির ভাবনাও রয়েছে।’ তবে কবে থেকে শুরু হবে নতুন এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন, তা এখনও জানা যায়নি।